মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইমরান হোসেন (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে তেওতা ইউনিয়নের সুবুলিয়া ডাঙ্গা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন বুধবার দুপুরে আদালতে হাজির করলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গ্রেপ্তারকৃত ইমরান হোসেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের ইউনুস মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, প্রায় এক মাস আগে ভুক্তভোগী কিশোরীর মায়ের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে ভুলবশত ইমরানের নম্বরে কল চলে যায়। এরপর থেকেই ইমরান ওই কিশোরীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তিনি তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, গত ২ অক্টোবর রাত আড়াইটার দিকে ইমরান কিশোরীর নানাবাড়ি যায়। পরে কৌশলে ঘরে গিয়ে কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন ইমরান। ঘটনাটি কাউকে না জানাতে হুমকিও দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে কিশোরী বিষয়টি তার মাকে জানায়। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত ইমরানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে এখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। আমরা আইনের মাধ্যমে ন্যায়বিচার চাই।’ তিনি আরও জানান, “ইমরান প্রথমে তার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখায়, কিন্তু পরে জানা যায়, সে ইতোমধ্যে বিবাহিত। তার স্ত্রী ও তিনটি সন্তান রয়েছে।’
শিবালয় থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মানবেন্দ্র বালো জানান, ‘অভিযুক্ত ইমরান হোসেনকে মঙ্গলবার রাতে তেওতা এলাকা থেকে আটক করা হয়। বুধবার আদালতে পাঠানো হলে তিনি ১৬৪ ধারায় একাধিকবার ধর্ষণের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘ভুক্তভোগী কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন