গাজিপুরের শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনে পা পিছলে ট্রেনের নিচে পড়ে জালাল উদ্দিন ওরফে জালু (৪০) নামে এক সবজি বিক্রেতা মারা গেছেন। নিহত জালাল উদ্দিন ওরফে জালু ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলকর চরআলগী ইউনিয়নের নিধনিয়া চর বেপারীপাড়া গ্রামের মৃত তৈয়ব উদ্দিন বেপারীর ছেলে।
দৌড়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা পিছলে টেনের নিচে পড়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, চলন্ত ট্রেনের সামনে দিকে দৌড়ে যাচ্ছেন এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি। লুঙ্গি ও হলুদ রঙের গেঞ্জি পরিহিত ব্যক্তিটির শরীরে চাদর জড়ানো ও হাতে একটি সাদা ব্যাগ। পাশাপাশি দুটি ট্রেন ধীরে ধীরে চলছিল। হঠাৎ একটি ট্রেনের সামনে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান তিনি। চলন্ত ট্রেনটি ব্যক্তিটির শরীরের ওপর দিয়ে চলে যায়। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মৃত্যু হয়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
সোমবার (৩ অক্টোবর) ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ওসি মো. আকতার হোসেন ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে রাত ৮টা ৪৪ মিনিটে গাজীপুরের শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
নিহতের স্বজনেরা জানিয়েছেন, জালাল উদ্দিন দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জনক। এলাকায় নিজে কৃষি কাজ করেন এবং গ্রাম থেকে কৃষিপণ্য গাজীপুরের শ্রীপুরে নিয়ে বিক্রি করেন। প্রতিদিন কৃষিপণ্য নিয়ে ট্রেনে শ্রীপুর যান এবং রাতে বাড়ি ফেরেন। রোববার দুপুর ৩টার দিকে ঢেঁড়স, লাল শাক ও আরও কিছু শাক-সবজি নিয়ে বলাকা ট্রেনে শ্রীপুর যান। রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনে গফরগাঁও আসার জন্য ট্রেন ধরতে যাচ্ছিল। ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি শ্রীপুর স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে দেওয়ায় সেটি ধরতে গিয়ে ঢাকাগামী মহুয়া এক্সপ্রেসের ট্রেনের নিচে পড়ে যান জালাল উদ্দিন।
গফরগাঁও কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বেপারী বলেন, ‘জালাল চাচা প্রতিদিন এলাকায় থেকে শাকসবজি কিনে নিয়ে শ্রীপুরে বিক্রি করতেন। গতকাল রাতে গফরগাঁও ফেরার পথে দৌড়ে ট্রেনে ওঠার সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে ট্রেনে নিচে চলে যায়, এতে গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে তিনি মারা যান। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে জানাজা শেষে তার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। চাচার মৃত্যুতে তার পরিবার একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারাল।’
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ওসি মো. আকতার হোসেন বলেন, নিহতের স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনাময়নাতদন্তে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা।
 
        
                            
                                    
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
                                    
                                    
                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                            
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন