টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নির্বাচন অফিসে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেন এবং স্ক্যানিং অপারেটর সুমন। সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাচন অফিসে এ ঘটনা ঘটে৷
এ ঘটনার পর দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসার ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, সোমবার সকালে হঠাৎ করে বিএনপির প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মী উপজেলা নির্বাচন অফিসে এসে নির্বাচন অফিসারের ওপর হামলা করে। পরর্বতীতে অফিসের আরও দুজন স্টাফকেও মারধর করা হয়। এ সময় নির্বাচন অফিস ভাঙচুর এবং অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়। এ সময় নির্বাচন অফিসের বাইরে ছিলেন প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী।
গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসের সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু রায়হান ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচন অফিসারসহ তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানান৷ তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি কিছু দাললচক্র সুবিধা করতে পারছিল না৷ এ জন্য এ হামলা হতে পারে বলে মনে করছি৷’
জেলা নির্বাচন অফিসের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। সরকারি অফিস ভাঙচুর ও সরকারি কর্মকর্তার গায়ে আঘাত করার কারণে মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
হামলার বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত বলেন, ‘নির্বাচন অফিসার নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকের্মর সাথে জড়িত। এ বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ভুক্তভোগীদের নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে গেলে তিনি দুর্বব্যহার করেন।’
জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা পরিদর্শন করে দেখলাম সরকারি অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে, যদি নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকত তাহলে লিখিত অভিযোগ দিতে পারত। এ বিষয়ে নির্বাচন অফিসার অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন