গাজীপুরে গভীর রাতে ও ভোরে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। আগুনে বাসগুলো সম্পূর্ণ বা আংশিক পুড়ে গেছে, তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ঘটনাগুলো ঘটেছে গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত।
ভোগড়া বাইপাসে ভিআইপি পরিবহনের বাসে আগুন
আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বাসন থানার ভোগড়া বাইপাস সংলগ্ন পেয়ারা বাগান এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ভিআইপি পরিবহনের একটি বাসে দুর্বৃত্তরা পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়রা জানান, আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে না পৌঁছায় বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
তবে মডার্ন ফায়ার স্টেশন ভোগড়ার স্টেশন অফিসার ইকবাল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা প্রথমে পুলিশকে জানাই, এরপর যৌথভাবে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’
শ্রীপুরে বেড়াইদের চালায় আরেকটি বাসে আগুন
একই ভোরে, প্রায় ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে, শ্রীপুর থানার বেড়াইদের চালা এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসেও আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, ‘আগুনে বাসটির ইঞ্জিন ও সিট পুড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাসটি রাতে সড়কের পাশে পার্ক করা ছিল।’
কাশিমপুরে রাতে আরেক বাসে অগ্নিসংযোগ
অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে, কাশিমপুর থানাধীন কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জ্যোতি ফিলিং স্টেশনের সামনে বাসটির নিচে এক মিস্ত্রি মেরামতের কাজ করছিলেন। তখন মোটরসাইকেলে করে দুই যুবক এসে মুহূর্তের মধ্যে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে গিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হন, ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গেছে।
কাশিমপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত বাসে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কোনো প্রাণহানি হয়নি, তবে বাসের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ‘ঘটনার তদন্ত চলছে। অগ্নিসংযোগকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে রাতের বেলায় পার্ক করা বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে, যা নিয়ে জনমনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
পুলিশ বলছে, এসব ঘটনায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা নাশকতার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন