কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত প্রবাসী আবু বকর (৩২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
আবু বকর চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর কেন্ডা গ্রামের বাসিন্দা। সদর দক্ষিণ উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ের জামাই।
স্থানীয় সূত্র বলছে, ২৭ অক্টোবর সুমাইয়া আক্তার সুইটির সঙ্গে আবু বকরের বিয়ে হয়। ৮ নভেম্বর তিনি শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। সেদিন সন্ধ্যায় অলিরবাজার থেকে ফেরার পথে আবদুল্লাহপুর গ্রামের কিশোর গ্যাং সদস্য ফজলে রাব্বি ও পারভেজের সঙ্গে শ্যালক শান্তর ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় শান্তকে মারধর করা হলে প্রতিবাদ করেন আবু বকর। পরে ওই দুই কিশোর গ্যাং সদস্য তার বুকে ছুরিকাঘাত করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। এক সপ্তাহের বেশি সময় চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর ৯ নভেম্বর সুমাইয়া আক্তার সুইটি ফজলে রাব্বি ও পারভেজকে আসামি করে সদর দক্ষিণ থানায় মামলা করেন। এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শুক্রবার বিকেলে চৌদ্দগ্রামে আবু বকরের দাফন সম্পন্ন হয়।
নিহতের শ্বশুর দেলোয়ার হোসেন বলেন, একটি হত্যাকাণ্ড দুই পরিবারকে ধ্বংস করে দিল। আমার মেয়ের স্বামী কোনো দোষ করেনি। ওকে কেন খুন করা হলো? মেয়েটা তরুণ বয়সেই বিধবা হলো। তিনি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান।
সদর দক্ষিণ থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম বলেন, আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন