ঢাকার ধামরাইয়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৭ টি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় দুটি ইটভাটার কাগজপত্র না থাকায় ভাটার চিমনি ভেঙে দিয়ে কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া মাটি ব্যবহারের অনুমতি না থাকায় পাঁচটি ইটভাটাকে তিন লাখ টাকা করে মোট ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার কুল্লা, রোয়াইল ও সূতিপাড়া ইউনিয়নে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিবেশ অধিদপ্তরের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ রেজওয়ান-উল-ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।
উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ নাজমুল হোসেন।
অভিযানে উপজেলার কুল্লা ও রোয়াইল এলাকায় অবস্থিত মেসার্স মাহী ব্রিকস ও মেসার্স এবিসি ব্রিকস নামক দুটি ইটভাটার চিমনি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এছাড়াও সূতিপাড়া ও রোয়াইল এলাকায় অবস্থিত মেসার্স রাইসুর এন্ড সামসুদ্দিন ব্রিকস, মেসার্স থ্রিস্টার ব্রিকস, মেসার্স লায়ন ব্রিকস, মেসার্স দাদা ব্রিকস ও মেসার্স এস এন ব্রিকস এন্ড কোং নামক পাঁচটি ইটভাটাকে তিন লাখ টাকা করে মোট ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় ভাটার চিমনি ভাঙার ঘটনায় এক ভাটার মালিক সোলাইমান অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের পরিচালক জনাব সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, ঢাকা জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জনাব মোঃ ইলিয়াস মাহমুদ, পরিদর্শক জনাব নয়ন কুমার রায় ও পরিদর্শক জনাব এস এম মনজুর-উল-আলম।
উক্ত এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমে বাংলাদেশ পুলিশের একটি দল, এক প্লাটুন র্যাব এবং ফায়ার সার্ভিসের একটি চৌকস দল উপস্থিত থেকে প্রয়োজনীয় আইনগত সহযোগিতা প্রদান করেন। এছাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রেজওয়ান-উল-ইসলাম বলেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ৭ টি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
দুটি ভাটার চিমনিসহ ভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে ইট উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
বাকি পাঁচটি ভাটার জেলা প্রশাসকের অনুমোদন থাকলেও মাটি কাটার অনুমতি না থাকায় তাদের তিন লাখ টাকা করে মোট ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন