শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৫, ০৪:১৮ পিএম

সরকারি সেচ প্রকল্প জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৫, ০৪:১৮ পিএম

লাঠিসোঁটা নিয়ে সেচ প্রকল্প দখল নিতে আসেন বিএনপি নেতা খালেক মিয়া ও তার দলবল। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

লাঠিসোঁটা নিয়ে সেচ প্রকল্প দখল নিতে আসেন বিএনপি নেতা খালেক মিয়া ও তার দলবল। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত উজান কান্দা সেচ প্রকল্প জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কিম ম্যানেজার আনোয়ার মিয়া অষ্টগ্রাম থানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সেচ প্রকল্পের সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত দুই বছর ধরে কৃষকদের সিদ্ধান্ত ও সরকারি অনুমোদনের ভিত্তিতে আনোয়ার মিয়া পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়নের উজান কান্দা সেচ প্রকল্পের স্কিম ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন। চলতি মৌসুমেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উপজেলা সেচ কমিটির যাচাই-বাছাই শেষে তাকে পুনরায় দায়িত্ব দেওয়া হয়। অনুমোদন পাওয়ার পর তিনি শ্রমিক নিয়োগ করে ড্রেন নির্মাণ ও সংস্কারকাজ শুরু করেন, যাতে ব্যয় হয় প্রায় ৯০ হাজার টাকা।

এ সময় স্থানীয় বিএনপি নেতা ও পূর্ব অষ্টগ্রাম (কবিরখান্দান) এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি খালেক মিয়া (৬৫) নেতৃত্বে বাচ্চু মিয়া, বাঁশি মিয়া, এলিম মিয়া, জিয়াউল হক, আবু মিয়া, কাজিম উদ্দিন, ফতু মিয়া, আক্কাছ মিয়াসহ ২০-২৫ জন স্কিমটির নিয়ন্ত্রণ নেন। তারা শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দিয়ে দা, লাঠি, লোহার রড ও বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখান। পরে বিএডিসি সেচ অফিসে ডেকে স্কিমটি তাদের পক্ষে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্কিম ম্যানেজার আনোয়ার মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির লোকজন এসে বলেন, ‘আমাদের নেতা ফজলুর রহমান বলে দিয়েছেন, এই এলাকায় বিএনপি ছাড়া কেউ কিছু পাবে না। উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাঈদ আহমেদও তাদের সহযোগিতা করছেন। ৬৪টি সেচ স্কিমের বেশির ভাগই বিএনপি নেতারা নিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও আমি স্কিম চালু করতে পারছি না। থানায় গেলে বলে ইউএনও অফিসে যান, ইউএনও অফিসে গেলে বিএডিসি অফিসে পাঠায়। এই ঘটনায় কৃষকেরা বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।’

অভিযুক্ত বিএনপি নেতা খালেক মিয়া বলেন, ‘গত বছর আমি ও আনোয়ার মিয়া মিলে স্কিম পরিচালনা করেছি। এ বছরও যৌথভাবে করতে চাই। কিন্তু তিনি একাই করতে চাইছিলেন, তাই বলেছি, আমাদের ছাড়া স্কিম হবে না। উপজেলা বিএনপি সভাপতি সৈয়দ সাঈদ আহমেদও একই কথা বলেছেন।’

উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘গত বছর যেহেতু দুজন মিলে স্কিম পরিচালনা করেছেন, তাই সহকারী প্রকৌশলী বলেছেন—এ বছরও মিলেমিশে করতে। আমি শুধু সেই পরামর্শই জানিয়েছি।’

বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আছাদুল হক বলেন, ‘ঘটনার বিষয়টি প্রথম আপনার কাছ থেকেই শুনলাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অষ্টগ্রাম থানার ওসি রুহুল আমীন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগের বিষয়ে এখনো আমার কাছে কিছু আসেনি।’

সরকারি অনুমোদিত সেচ স্কিম দখলকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকেরা।

Link copied!