বরিশালে আসামি ধরতে গিয়ে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)-সহ দুই পুলিশ সদস্য হামলার শিকার হয়েছেন। মেট্রোপলিটন বন্দর থানার এএসআই দেলোয়ার হোসেন ও কনস্টেবল আব্দুস সালাম বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে সোনালী পোল এলাকায় বাসিন্দা প্রতাপ ঘোষকে আটক করতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করা হয় এবং আটকে রাখার চেষ্টা করা হয়।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে দুই সদস্যকে উদ্ধার করলেও এ ঘটনায় প্রতাপ ঘোষ বা তার কোনো স্বজনকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। পরে রাতেই আহত দুই পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ জানায়, চাঁদপুরা ইউনিয়নের সোনালী পোল এলাকার বাসিন্দা প্রতাপ ঘোষ বরিশাল আদালতে চলমান একটি মামলার সাক্ষী। তিনি আদালতে সাক্ষ্য না দেওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
বুধবার রাতে ওসিকে অবহিত করে এএসআই দেলোয়ার হোসেন ও কনস্টেবল আব্দুস সালাম প্রতাপ ঘোষকে ধরতে তার বাসায় যান। সেখানে পুলিশের সঙ্গে প্রতাপ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে প্রতাপকে নিয়ে আসতে চাইলে তার স্ত্রী এবং দুই ছেলে—মিলন ঘোষ ও বাসুদেব ঘোষ—হামলা চালিয়ে দুই পুলিশ সদস্যকে মারধর করেন এবং আটকে রাখেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পুলিশকে মারধর ও চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে আটকে রাখার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে জড়ো হলে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ রওনা দেয়। অতিরিক্ত পুলিশ পৌঁছানোর আগেই প্রতাপ ও তার স্ত্রী-সন্তানরা বাসা থেকে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন।
আসামি ধরতে গিয়ে দুই পুলিশ সদস্য হামলার শিকার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন। তিনি রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এএসআই ও কনস্টেবল আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই প্রতাপ ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকেই আটক করা সম্ভব হয়নি।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে এবং ওয়ারেন্টভুক্ত প্রতাপ ঘোষ, তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন