ঢাকা সোমবার, ০৪ আগস্ট, ২০২৫

সম্মেলন ঘিরে বিএনপির দুই পক্ষের  সংঘর্ষ, আহত ৫০

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২৫, ১০:২৪ এএম
বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। ছবি- সংগৃহীত

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবেড় ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৩ আগস্ট) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একাধিক দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় সন্নাসী বাজারের অন্তত ২০টি দোকান ও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি বসতবাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী আব্দুল আলিম হাওলাদার ও সাজারুল ইসলাম সাজুর অনুসারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২ আগস্ট) রাতে আলিমের অনুসারীরা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শামীম হাসান পলকসহ অন্তত ১১ নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়। গুরুতর আহতদের মধ্যে কয়েকজন বর্তমানে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পরদিন রোববার বিকেলে ওই হামলার প্রতিবাদ এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে সাজু ও পলকের সমর্থকেরা পুলিশের অনুমতি নিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করেন। তবে মানববন্ধন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আব্দুল আলিমের সমর্থকেরা অতর্কিতে হামলা চালায়। সংঘর্ষে সভাপতি প্রার্থী সাজারুল ইসলাম সাজুসহ বহু নেতাকর্মী আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৫টার দিকে সন্নাসী বাজারে সংঘর্ষ শুরু হয়, যা পুলিশের উপস্থিতিতেই চলতে থাকে। উভয় পক্ষ লাঠিসোটা, ইট-পাটকেল নিয়ে একে অন্যের ওপর হামলা চালায়। সংঘর্ষের সময় বাজার সংলগ্ন একটি ভবনের ছাদ থেকেও ইট নিক্ষেপ করা হয়।

আহত সভাপতি প্রার্থী সাজারুল ইসলাম সাজু বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’

সাবেক যুবদল নেতা জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘ভোটে ভরাডুবির আশঙ্কা থেকে আমাদের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে।’

অন্যদিকে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও আব্দুল আলিম হাওলাদারের সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনা নিয়ে রামপাল থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। দুই পক্ষই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা আতঙ্কে রয়েছেন নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায়। পুলিশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে।