ঢাকা সোমবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৫

বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা, চক্রের তিন হোতা গ্রেপ্তার

বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৫, ০৫:৪৯ পিএম
গ্রেপ্তার হওয়া প্রতারণা চক্রের তিন সদস্য। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

দীর্ঘদিন ধরে বিকাশের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নানা কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল একটি প্রতারক চক্র। অবশেষে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সাইবার ক্রাইম টিমের যৌথ অভিযানে এই আন্তঃজেলা প্রতারণা চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরগুনা জেলা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে আমতলী সদর ইউনিয়নের উত্তর টিয়াখালী গ্রাম থেকে চক্রটির তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৫টি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামের নাসির হাওলাদারের ছেলে সুজন এবং তার সহযোগী মো. দেলোয়ার মুন্সীর ছেলে আব্দুর রহমান (২৫) ও তার স্ত্রী সুমি (২২)।

বরগুনা জেলা পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাস ধরে জেলার বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হারানোর অভিযোগ করেন। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে বরগুনা জেলা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে অপরাধীদের শনাক্ত করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফোন করে আত্মীয়স্বজনের অসুস্থতা বা অন্যান্য সংবেদনশীল বিষয় তুলে ধরে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ আদায় করতেন। এভাবেই তারা প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন।

আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, প্রতারণার শিকার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর বাজারের রাকিবুল খান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

রাকিবুল অভিযোগ করেন, প্রতারক চক্রটি তার দুবাই প্রবাসী বড় ভাই রাসেল খানের অসুস্থতার—বিশেষ করে নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত পড়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়।

জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা আন্তঃজেলা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং তাদের বিরুদ্ধে বরগুনা জেলা ছাড়াও অন্যান্য জেলায় একাধিক প্রতারণামূলক মামলা রয়েছে।