বগুড়ায় নিহত যুবদল কর্মী ইমরান শেখের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা ও উপহার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৫ জুলাই) রাতে শহরের ফুলবাড়ীতে ইমরানের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দরা ধারাবাহিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে এই উপহার তুলে দেন।
এ সময় সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেন, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর এলাকায় নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিল যুবদল কর্মী ইমরান শেখ। হামলায় ইমরানের বড় ভাই হিলু শেখকেও কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়। উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে অন্ধকারে পরে গিয়েছিল ইমরানের পরিবার। কিন্তু যুবদলের এই কর্মীকে ভুলেননি তারেক রহমান। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সব প্রতিকূলতার মাঝেও বিভিন্ন সময় তার পরিবারকে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছিলেন তিনি।
আর্থিক সহযোগিতা ও খাদ্যসামগ্রী পেয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিহত ইমরানের বৃদ্ধ মা মিনু বেওয়া বলেন, ‘তারেক রহমান আর যুবদল আমাদের পাশে না দাঁড়ালে না খেয়ে মারা যেতাম। আমার নাতনি মরিয়ম আক্তার মিম এখন অনার্সে পড়াশোনা করছে। ধারাবাহিক এই সহযোগিতা না পেলে হয়তো তার পড়াশোনাও হতো না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বগুড়া জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, বিএনপি মিডিয়া সেল রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়ক এবং বগুড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ইমরানের বড় ভাই হিলু শেখসহ যুবদলের নেতৃবৃন্দরা।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কখনোই কোনো ত্যাগী ও দলের জন্য নিবেদিত কর্মীকে ভুলেন না। যুবদল কর্মী ইমরান মারা যাওয়ার পর তার মেয়ের পুরো শিক্ষার দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি ২০১৩ সাল থেকে তিনি তার মানবিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন।