আজ বাংলাদেশের মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৫তম জন্মদিন। স্বাধীনতা, ভাষা আন্দোলন ও কৃষক-শ্রমিক অধিকার রক্ষায় জীবনের প্রায় সমগ্র সময় ব্যয় করা এই নেতার স্মরণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনৈতিক নেতা ও কৃষক অধিকার আন্দোলনের সংগঠক। তিনি বিশেষভাবে বাঙালি মুসলিম কৃষক আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে তার অবদানের জন্য পরিচিত।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া পল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শৈশবে তাঁর ডাকনাম ছিল ‘চেগা মিয়া’।
ইসলামি শিক্ষার জন্য ১৯০৭ সালে দারুল উলূম দেওবন্দে পড়াশোনা করেন ভাসানী। পরবর্তী সময়ে ধর্মচর্চা, সামাজিক কর্মকাণ্ড ও রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় হন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি রাজনীতিতে গভীরভাবে যুক্ত হন।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, পাকিস্তান সৃষ্টির সংগ্রাম, ভাষা আন্দোলন ও ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে তাঁর ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ সালে ফারাক্কা লংমার্চ পরিচালনা করে তিনি নতুন অধ্যায় রচনা করেন।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সংগঠন আজ তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে।
১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য ২০০২ সালে তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদক দেওয়া হয়। ২০০৪ সালে বিবিসির জরিপে তিনি শ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় অষ্টম স্থান লাভ করেন।
