ঢাকা শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫

নির্বাচন ঘিরে বগুড়া-১ আসন উত্তপ্ত, গণসংযোগে ব্যস্ত প্রার্থীরা

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম
বগুড়া-১ আসনে ভোটযুদ্ধে লড়বে বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থীরা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনটি মূলত ভোট যুদ্ধে লড়াই হবে বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থীর মধ্যে। দলের সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এখন মাঠে ব্যস্ত গণসংযোগ, মতবিনিময় সভা আর এলাকার ভোটারদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে।

১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনেও আসনটি বিএনপির দখলে ছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির শোকরানাকে হারিয়ে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক প্রয়াত আবদুল মান্নান বিজয়ী হন।

২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ২০১৮ সালে বিএনপির প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলামকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন আবদুল মান্নান।

এদিকে ২০১৯ সালে তার মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে তার স্ত্রী সাহাদারা মান্নান সংসদ সদস্য হন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে এই এলাকায় জামায়েত অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিনকে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। আর এ কারণেই গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। 

অন্যদিকে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ আসনে সম্ভাব্য ডজন খানেক প্রার্থী বিএনপির গণসংযোগে ব্যস্ত।

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম হলেন-

আলহাজ মহিদুল ইসলাম রিপন–শিল্পপতি ও মনি পঞ্চায়েত কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান। জিয়া পরিবারের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি সোনাতলা ও সারিয়াকান্দির অসহায়, দুস্থ ও কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বন্যা ও দুর্যোগে ত্রাণ বিতরণ, মামলায় জড়িত নেতাকর্মীদের সহায়তা এবং বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে সক্রিয় রয়েছেন।

তৌহিদুল ইসলাম টিটু–কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বন্যা ও শীতে অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণসহ দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে যাচ্ছেন।

এ কে এম আহসান তৈয়ব জাকির–সোনাতলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি। তিনি ২০১৯ সালের উপনির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেলেও দলীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচন বর্জন করেন।

ডা. হাবিবুর রহমান– ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের সংসদ সদস্য ছিলেন।

কাজী রফিকুল ইসলাম– ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন এবং ২০১৮ সালে আবারও মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

এ ছাড়াও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন , সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়াম্যান মাসুদুর রহমান হিরু মন্ডল, জিয়া শিশু-কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট রবিউল হোসেন রবি, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুন নবী সালাম, অধ্যক্ষ এএসএম রফিকুল ইসলাম, কর্নেল (অব.) জগলুল আহসান, জেলা ড্যাব নেতা ডা. শাহ্ মো. শাহজাহান আলী, সাবেক মহিলা এমপি মমতাজ বেগম নির্বাচনি এলাকায় বেশ সরব।

এরা প্রত্যেকেই এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগের পাশাপাশি দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এদিকে নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, বগুড়া-১ আসনের রাজনৈতিক মাঠ ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।