বগুড়ার ধুনটে নাহিদুল ইসলাম ফকির ও আজিজুল ইসলাম নামের দুই মাদক কারাবারির বিরুদ্ধে এক যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (০৮ অক্টোবর) উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের নান্দিয়ারপাড়া গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলী সরকারের ছেলে সাইফুল ইসলাম থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন। নাহিদুল ইসলাম ও আজিজুল ইসলাম একই এলাকার বাবু ফকিরের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দুই মাদক কারবারি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য সেবন ও ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে। গ্রামের মানুষ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতিসহ ভয়ভীতি প্রদান করে। গত ৮ অক্টোবর বুধবার সাইফুল ইসলামের ছেলে বজলু সরকার ভোর অনুমান ৪টার দিকে প্রকৃতির ডাকে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির দক্ষিণ পার্শ্বের কাঁচা রাস্তা দিয়ে হাঁটার কালে নাহিদুল ও আজিজুলকে দেখতে পায়। তখন তারা কি করতেছে জিজ্ঞেস করলে নাহিদুল ও আজিজুল ক্ষিপ্ত হয়ে বজলু সরকারকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল শুরু করে। বজলু সরকার গালির প্রতিবাদ করায় এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে টেনেহিঁচড়ে ওই এলাকার মৃত চান্দুল্লাহ ফকিরের ছেলে আইয়ুব আলীর বাড়ির বাইর আঙিনায় বজলু সরকারকে নারিকেল গাছের সঙ্গে হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মারাত্মক জখম করে। পরে আহত বজলুর চিৎকার শুনে বাবা সাইফুল এগিয়ে এলে তাকেও ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে আহত বজলু সরকারকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত বজলু সরকারের চাচাতো ভাই শাহা আলম জানায়, নাহিদুল ইসলাম ফকির ও আজিজুল ইসলাম স্থানীয় চিহ্নিত মাদক কারবারি। তারা দুই ভাই নান্দিয়ারপাড়া মাছ বাজার হতে পশ্চিম দিকে নদীর কিনারে সবজির জমির ভেতর ও উত্তর কান্তনগর (বাঁশহাটা) এলাকার জোড়া বটতলায় মাদক কেনাবেচা করে।
আহত বজলু সরকারের বাবা সাইফুল ইসলাম জানান, চিহ্নিত মাদক কারবারি নাহিদুল ইসলাম ফকির ও আজিজুল ইসলাম আমার ছেলেকে মারধর করে। আমি আমার ছেলেকে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করে থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করি। চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার আমার ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে আসি।
ধুনট থানার এসআই সেলিম জানান, অভিযোগ হাতে পেয়েছি। এর আগেও বিবাদীদের বিরুদ্ধে মাদকসংক্রান্ত বিষয়ে শুনেছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন