শনিবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


​বগুড়া ও সাভার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২৫, ০৮:১৬ পিএম

বগুড়া ও সাভারে বিপুল পরিমাণ নকল মশার কয়েল জব্দ ও ধ্বংস

​বগুড়া ও সাভার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২৫, ০৮:১৬ পিএম

ছবি-রূপালী বাংলাদেশ

ছবি-রূপালী বাংলাদেশ

দেশজুড়ে নকলবিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য এসেছে। সুপরিচিত ‘ড্রাগন’ ও ‘বাওমা’ ব্র্যান্ডের মশার কয়েল নকল পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের অভিযোগে বগুড়া জেলা এবং ঢাকার সাভারে সম্প্রতি অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ নকল কয়েল জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। পাশাপাশি নকল চক্রের মূল হোতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বগুড়ার ফাঁস হওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার সাভারের নগরকোন্ডা/দাসপাড়া এলাকায় এক বিশাল অভিযান চালায় র‌্যাব-৪ (নবীনগর ক্যাম্প)। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই অভিযান চলতে থাকে। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং স্কোয়াড্রন লিডার মোঃ নাজমুল ইসলাম-এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

অভিযানের সময় মো. নাহিদ ইসলাম (৩৮) পরিচালিত ‘লামিয়া কনজুমার প্রোডাক্টস’ এর  ইউরো মশার কয়েল কারখানায় বিপুল পরিমাণ নকল ও অবৈধ পণ্য জব্দ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি ড্রাগন, বাওমা সহ বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের মশার কয়েল নকল করছিল বলে অভিযোগ উঠে।

জব্দকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে বিপুল পরিমাণ নকল কয়েল। প্রশাসনের উপস্থিতিতে জনসম্মুখে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে এসব নকল পণ্য ধ্বংস করা হয়।

অবৈধভাবে নকল পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার দায়ে ইউরো কয়েলের মালিক মো. নাহিদ ইসলামকে ঘটনাস্থলেই ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ড্রাগন ও বাওমা নামের তিনটি পৃথক ব্র্যান্ডের নকলের অভিযোগে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউরো কয়েলের কর্মচারী রবীন্দ্র বণিকের বিরুদ্ধেও এই চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।

এর আগে বগুড়ায় পরিচালিত অভিযানে নকল ড্রাগন ও বাওমা কয়েল উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত মোহাম্মদ আশরাফুলকে হাতেনাতে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নকল কয়েল উৎপাদন ও বিপণনে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন এবং চক্রের মূল সদস্যদের নাম প্রকাশ করেন।

আশরাফুলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই চক্রের সঙ্গে ইউরো কয়েলের মালিক মোঃ নাহিদ ইসলাম, এ টু জেড কয়েলের মালিক মোঃ নুরুজ্জামান, পাবনার হাফিজুর রহমান এবং গাজীপুরের রবীন্দ্র বণিক জড়িত।

ড্রাগন ও বাওমা পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নকলবিরোধী অভিযান সারাদেশে অব্যাহত থাকবে। তারা ভোক্তাদের কাছে নকলমুক্ত, নিরাপদ ও কার্যকর পণ্য সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নকল পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি তাদের ভোক্তা, ডিলার, ডিপো ও বিক্রেতাদের নকল পণ্য কেনা-বেচা নিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

Link copied!