বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন রবিশস্য চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কৃষকরা আমন ধান কেটে ওই জমিতেই আলু, সরিষা, গম, পিয়াজ, রসুন, ডাল, শাক-সবজিসহ অন্যান্য রবিশস্য ফসল লাগানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এবার কৃষকরা বাজারে সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এ উপজেলায় দ্বিগুণ পরিমান সরিষার চাষ করছেন বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, খাদ্য শষ্যের ভান্ডার বলে পরিচিত বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ইতিমধ্যেই কৃষকরা রোপা আমন ধান কেটে সেই জমিতে হাল চাষ করে বিভিন্ন জাতের আলু, সরিষা, পিয়াজ, শীতকালিন
মরিচ, ডাল, শাক-সবজিসহ অন্যান্য রবিশস্য লাগানো শুরু করেছেন। অত্র উপজেলায় এবার ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আলু, ৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সরিষা, ৩০ হেক্টর জমিতে গম, ৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা, ৫৫ হেক্টর জমিতে পিয়াজ, ৩০ হেক্টর জমিতে রসুন, ৩০ হেক্টর জমিতে মসুর ডাল, ৩৫০ হেক্টর জমিতে শাক-সবজি, ১০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলু এবং ৫০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের কৃষক সাইদুল মন্ডল, আব্দুর রহমান জানান, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় গত মৌসুমের চেয়ে এবার দ্বিগুণ পরিমান সরিষা চাষ করা হচ্ছে। আশা করি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার রবিশস্যের ফলন ভালো হবে। কাশিমালা
গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান জানান, এবার সরিষার দাম ভালোই ছিল। তবে আলু দাম কম পেয়েছি। আমি প্রায় সব জমিতেই সরিষা চাষ করেছি।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে কৃষকরা এ উপজেলায় সরিষা ও আলুর আবাদ বেশি করছেন। তবে কম সময়ে বেশি লাভজনক ফসল মিষ্টি কুমড়া, শসা, মসুর ডাল চাষের জন্য কৃষকদেরকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার রবিশস্যের আবাদের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।
