ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৫

মতলবে মেঘনা থেকে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২৫, ১০:৩০ এএম
মো. ফরহাদ জুয়েল। ছবি- সংগৃহীত

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সাতানী গ্রামের নিখোঁজ যুবক মো. ফরহাদ জুয়েলের (২৭) মরদেহ নিখোঁজের ৪৮ ঘণ্টা পর মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে চাঁদপুর সদরের নীলকমল এলাকায় মেঘনা নদীতে মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা মরদেহটি উদ্ধার করে, যা পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজ ফরহাদ জুয়েলের বলে শনাক্ত করেন।

নিহত জুয়েল মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়নের সাতানী গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৪ জুলাই) সকালে জুয়েল বাড়ি থেকে বের হয়ে এখলাসপুর বকুলতলা এলাকায় যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

তার মা সুফিয়া বেগম জানান, ‘আমার ছেলে শাহ আলম মেম্বারের কাছে গিয়েছিল। এরপর আর কোনো খোঁজ পাইনি।’

এ বিষয়ে এখলাসপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহ আলম দাবি করেন, ‘আমার সঙ্গে জুয়েলের কোনো সাক্ষাৎ হয়নি।’

এদিন রাত ৮টার দিকে হাসিমপুর গ্রামের রুহুল আমিনের সঙ্গে নয়ানগর বটতলায় দেখা হয় জুয়েলের। রুহুল জানান, জুয়েল তাকে কথা বলার কথা বললে তিনি বলেন বাজারে গিয়ে চা খেতে খেতে কথা বলা যাবে। এরপর দুজনেই মোটরসাইকেল নিয়ে বাজারের পথে রওনা দেন। তবে পথিমধ্যে এখলাসপুরের নুরু মিয়া রাজার সঙ্গে দেখা হলে জুয়েল থেমে যান। রুহুল বাজারে পৌঁছালেও জুয়েল আর আসেননি।

নুরু মিয়া রাজা জানান, জুয়েল তাকে বলেন যে, তিনি মনির হোসেন গাজীর ছেলে সজিবের কাছে বালুর টাকা নিতে যাচ্ছেন। তবে সজিব দাবি করেন, ‘জুয়েলের সঙ্গে আমার কোনো আর্থিক লেনদেন নেই। এমনকি ওই দিন তার সঙ্গে আমার দেখা হয়নি।

এদিকে শনিবার ভোরে পাঁচানী স্কুলের পাশে জুয়েলের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল পাওয়া যায়। অপরদিকে ওইদিন দুপুরে জুয়েলের বড় ভাই সোহেলের মোবাইলে অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

এই ঘটনায়  নজরুল, জাহিদুল, মনির হোসেনকে মতলব উত্তর থানা পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।

মতলব উত্তর থানার ওসি মো. রবিউল হক বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্তে কিছু অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমরা ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’