ঢাকার বাজারে ডিমের দাম মাসের শুরুতে বাড়লেও এখনো তা আগের মতোই চড়া রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর, টাউন হল ও কারওয়ান বাজারে ফার্মের বাদামি ডিম ডজনপ্রতি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যদিও সপ্তাহের শুরুর তুলনায় ডজনে ৫ টাকা কমেছে দাম, এক মাস আগের তুলনায় এখনো ১৫-২০ টাকা বেশি।
ডিমের দাম কিছুটা চড়া থাকলেও ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দামে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি এখন প্রতি কেজি ১৬০-১৭০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৩০-২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় যথাক্রমে ১০ ও ২০ টাকা কম।
বৃষ্টির কারণে বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কম থাকলেও বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, সবজির দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় ডিমের চাহিদা বেড়েছে। অথচ উৎপাদন বাড়েনি, ফলে সরবরাহ-চাহিদার অসামঞ্জস্যে দাম এখনো উচ্চ পর্যায়ে।
সবজির বাজারে বড় কোনো অস্থিরতা না থাকলেও টমেটো ও পেঁপের দাম তুলনামূলক বেশি। অন্যান্য সবজির মধ্যে পটোল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, লাউ ৪০-৬০ টাকায় এবং বরবটি, কাঁকরোল, বেগুন ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সজনে ছাড়া বেশিরভাগ সবজি এক শ টাকার নিচেই রয়েছে।
চালের বাজারে তুলনামূলক স্থিতিশীলতা দেখা যাচ্ছে। বোরো ধানের নতুন চাল বাজারে আসায় মিনিকেট চালের দাম এখন কেজিতে ৭৫ টাকার আশপাশে রয়েছে। রসিদ মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকায় এবং কিছু ব্র্যান্ডের দাম ৮২ টাকাও ছুঁয়েছে। অন্যদিকে, নাজিরশাইল, ব্রি-২৮, ব্রি-২৯ ও স্বর্ণা চালের দামও মানভেদে ৫৫ থেকে ৯৫ টাকার মধ্যে রয়েছে।
মাছ ও মাংসের বাজারেও বড় কোনো পরিবর্তন নেই। পাবদা মাছ ৪০০-৪৫০, রুই ৩০০-৩৫০ এবং গরুর মাংস ৭০০-৮০০ টাকায় আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের দাম রয়েছে ১০০০-১১০০ টাকার মধ্যে।
অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০-৫৫ টাকা, আলু ২০-২৫ টাকা, দেশি রসুন ১২০-১৪০ টাকা এবং আমদানি করা রসুন ২২০-২৪০ টাকায়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টির কারণে কিছু পণ্যের সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী এই পরিস্থিতি এক-দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে, যার ফলে বাজারে কিছু পণ্যের মূল্য আবারও ওঠানামা করতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :