ঢাকাসহ সারা দেশের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি।
এতে বলা হয়েছে, বাজুসের সহসভাপতি রিপনুল হাসানকে ভুয়া ও বানোয়াট রাজনৈতিক পদ দেখিয়ে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় গতকাল তাঁতীবাজারে নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে ডিবি পুলিশের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেন। মামলায় যে রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে রিপনুল হাসান কখনওই সেই পদে ছিলেন না। এমনকি কোনও রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্যপদ কোনওদিনও রিপনুল হাসান গ্রহণ করেননি।
এতে বলা হয়, বাজুসের সহসভাপতি মো. রিপনুল হাসানকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেপ্তারের কারণে সারা দেশের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানসমূহের মালিকরা ক্ষুদ্ধ ও মর্মাহত। এই নিরাপরাধ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সারা দেশের জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা।
তার ন্যায়বিচার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আজ সারা দেশের সকল জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে দিনভর প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে। ব্যবসায়ীদের এই ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ কর্মসূচি এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে বাজুসের সহসভাপতি মো. রিপনুল হাসানকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে অব্যাহতি ও ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা, বাণিজ্য উপদেষ্টা, শিল্প উপদেষ্টা, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে বাজুস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাশাপাশি আসন্ন ঈদুল আজহা ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রত্যাশায় অনির্দিষ্টকালের বন্ধের কর্মসূচি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস। এই কারণে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের আগামীকাল থেকে সকল জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার অনুরোধ জানিয়েছে।
তবে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে রিপনুল হাসানের নাম প্রত্যাহার ও ন্যায়বিচার না পেলে পরবর্তীতে কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে বাজুস।
আপনার মতামত লিখুন :