বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মোস্তাফিজুর রহমান সুমন

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৫, ১২:০৬ এএম

কাপড় ব্যবসায়ী সুব্রত বাইন!

মোস্তাফিজুর রহমান সুমন

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৫, ১২:০৬ এএম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

অপরাধ জগতের ত্রাস ও পুলিশের খাতায় মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী। তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদও আন্ডারওয়ার্ল্ডের কিং হিসেবে পরিচিত।

৫ আগস্টের পর থেকে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অন্যতম কারণ ছিল ভারতে পালিয়ে থাকা এসব শীর্ষ সন্ত্রাসী গোপনে দেশে এসে নাশকতায় যুক্ত হওয়া। প্রায় দেড় মাস ধরে পরিচয় লুকিয়ে কুষ্টিয়া শহরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে গ্রামে গ্রামে কাপড়ের ব্যবসার ছদ্মবেশ ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে আসছিলেন দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী।

কাপড় ব্যবসায়ী সেজে দেড় মাস তারা আত্মগোপনে ছিলেন। অবশেষে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ গ্রেপ্তার হয়েছেন। এই দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারের পর দেশের অপরাধ জগত কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ হবে বলে মত গোয়েন্দা সংস্থার।

ঢাকার অপরাধ জগতের ত্রাস ও নগরবাসীর কাছে আতঙ্ক শীর্ষ সন্ত্রাসী  সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ দুই সহযোগীসহ সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। অপর দুজন হলেনÑ শুটার আরাফাত ও শরীফ।

অভিযানে সুব্রত বাইনের কাছ থেকে পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১০টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে। শহরের কালীশংকরপুর সোনার বাংলা মসজিদ এলাকার একটি বহুতল ভবনে গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়ে সুব্রত ও মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে শুটার আরাফাত ও শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেড এই যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় ঢাকা সেনানিবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর পক্ষে জানানো হয়েছে, সেনাবাহিনীর অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদসহ ৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।

একটি বিশেষ অভিযানে গতকাল ভোর ৫টায় কুষ্টিয়া জেলা থেকে শীর্ষ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে সুব্রত বাইনের অপর দুই সহযোগী শুটার আরাফাত ও শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানকালে ৫টি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩ রাউন্ড গুলি এবং ১টি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়।

সেনাবাহিনী সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের নামে বিভিন্ন থানায় হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কার্যক্রম সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। উল্লেখ্য, সুব্রত বাইন এবং মোল্লা মাসুদ সেভেন স্টার সন্ত্রাসী দলের নেতা এবং ‘তালিকাভুক্ত ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের’ অন্যতম। সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। আভিযানিক দলের দক্ষতায় কোনোরূপ ক্ষয়ক্ষতি এবং নাশকতা ছাড়াই অভিযানটি সম্পন্ন হয় এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। উক্ত সফল অভিযান বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ফরমেশন, দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং বাংলাদেশ পুলিশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, সুব্রত বাইন ছিল নব্বইয়ের দশকে ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের সবচেয়ে আলোচিত নাম। আধিপত্য বিস্তার করে দরপত্র নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজিতে তার নাম আসা ছিল তখনকার নিয়মিত ঘটনা। এসব কাজ করতে গিয়ে অসংখ্য খুন-জখমের ঘটনাও ঘটেছে। তার উত্থান মগবাজারের বিশাল সেন্টার ঘিরে। এই বিপণিবিতানের কাছে চাংপাই নামে একটি রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ছিলেন। সেখান থেকে ধীরে ধীরে অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িয়ে যান। পরে বিশাল সেন্টারই হয়ে ওঠে তার কর্মকাণ্ড পরিচালনার কেন্দ্র।এ জন্য অনেকে তাকে ‘বিশালের সুব্রত’ নামেও চেনেন।

অন্যদিকে মোল্লা মাসুদ রাজধানীর মতিঝিল ও গোপীবাগ এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতেন। সুব্রত বাইনের হাত ধরেই মোল্লা মাসুদ অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়েন। মোল্লা মাসুদ ২০১৫ সালে ভারতে ধরা পড়েন বলে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। পরে তিনি জামিনে মুক্ত হন এবং ভারতেই অবস্থান করেছিলেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছিল। ২০০৩ সালের পরে তাকে আর বাংলাদেশে দেখা যায়নি।

পুলিশ সূত্র জানায়, ২০০১ সালে তৎকালীন সরকার যে ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে, তাতে মোল্লা মাসুদেরও নাম ছিল।

সুব্রত বাইনের উত্থান যেভাবে: কথিত ‘সেভেন স্টার’ বাহিনীর প্রধান ছিলেন সুব্রত বাইন। পুলিশের খাতায় তার পুরো নাম ত্রিমাতি সুব্রত বাইন। বহুদিন ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড কাঁপিয়ে ভারতের কারাগারে কিছুদিন বন্দি ছিলেন। সুব্রত বাইনের আদিনিবাস বরিশালের আগৈলঝাড়া থানার জোবারপাড় গ্রামে।

তার বাবা বিপুল বাইন ছিলেন একটি এনজিওর গাড়িচালক। মা কুমুলিনি আর তিন বোন মেরি, চেরি ও পরীকে নিয়ে ঢাকার মগবাজারের ভাড়া বাসায় থাকতেন। সিদ্ধেশ্বরী কলেজে ভর্তি হলে সেখানকার এক নেতার সঙ্গে পরিচয় হয়। কলেজে ভর্তি হওয়া আর হয়নি তার। তখন থেকে বইয়ের বদলে হাতে ওঠে অস্ত্র। অল্প দিনেই মগবাজারে একটি সন্ত্রাসী চক্র গড়ে ওঠে সুব্রতর নেতৃত্বে। ১৯৯৩ সালের দিকে মধুবাজার বাজারে সবজি বিক্রেতা খুন হলে পুলিশের তালিকায় তার নাম ওঠে। এর কিছুদিন পর মগবাজারের বিশাল সেন্টার নির্মাণের সময় চাঁদাবাজি নিয়ে গোলাগুলি হয়। এরপরই সুব্রত বাইনের নাম গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়। সুব্রত বাইন পরে বিশাল সেন্টারের দোকান মালিক সমিতির নেতাও হন। সেই পরিচয়ে চাঁদাবাজি শুরু করেন।

১৯৯১-এর নির্বাচনে তিনি বিএনপির হয়ে মগবাজার এলাকায় কাজ করেন। এতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর খুব কাছের লোক হয়ে যান। মগবাজারের মধুবাগ মাঠে একবার তার জন্মদিনের উৎসবও হয়। ওই উৎসবে বিএনপির অনেক নেতা হাজির হওয়ার পর সুব্রত বাইন রাতারাতি ‘তারকা সন্ত্রাসী’ বনে যান।

সে সময় যুবলীগের লিয়াকত মগবাজার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতেন। লিয়াকতের কবল থেকে এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে বিএনপিপন্থিরা সুব্রতকে সমর্থন দেন। এরপর ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ট্রিপল মার্ডারে নেতৃত্ব দেন সুব্রত। এ ছাড়া মগবাজারের রফিক, সিদ্ধেশ্বরীর খোকনসহ বেশ কয়েকজন তার হাতে খুন হন। তার বিরুদ্ধে সে সময় কমপক্ষে ৩০টি মামলা ছিল। এর মধ্যে ১৯৯১ সালে আগারগাঁওয়ে জাসদ ছাত্রলীগের নেতা মুরাদ খুনের ঘটনায় তার যাবজ্জীবন সাজা হয়। ১৯৯৭ সালে নয়াপল্টন এলাকার একটি হাসপাতাল থেকে গোয়েন্দা পুলিশের এসি আকরাম হোসেন গ্রেপ্তার করেন সুব্রত বাইনকে। বছর দেড়েক জেলে থাকার পর জামিনে বেরিয়ে যান।

বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০১ সালের ২৫ ডিসেম্বর ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম এবং তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে। এ তালিকায় প্রথম নামই ছিল সুব্রত বাইনের। তার নামে ইন্টারপোলেও নোটিশ দেওয়া হয়। এরপর সুব্রত ঢাকা ছেড়ে কলকাতায় ঘাঁটি গাড়েন। পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার জামেলা নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। সেই ঘরে একটি মেয়ে আছে। ভারতে গিয়ে সেখানে জমি কিনে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য যাবতীয় নথিপত্র তৈরি করেন সুব্রত।

সুব্রতর ছোট বোন চেরির স্বামী অতুল গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, সুব্রতর ভারতীয় নাগরিকত্বের সব কাগজপত্র আছে। এরপরও অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০০৮ সালের ১১ অক্টোবর কলকাতা পুলিশ তাকে আটক করে। তবে বেশিদিন জেলে থাকতে হয়নি। জামিন পেয়ে দুবাই চলে যান। সেখান থেকে ফিরে কলকাতার এক চিত্রনায়িকার কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। সেই ফোনকলের সূত্র ধরে ২০০৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স তাকে ধাওয়া করে।

টাস্কফোর্সের তাড়া খেয়ে সুব্রত নেপালের সীমান্ত শহর কাঁকরভিটায় ঢুকে পড়েন এবং নেপালি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। প্রথমে তাকে পূর্ব নেপালের ভাদ্রপুর এবং পরে ঝুমকা কারাগারে নেওয়া হয়। ২০১২ সালের ৮ নভেম্বর সেই কারাগারে ৭৭ ফুট লম্বা সুড়ঙ্গ কেটে পালিয়ে যান। আবার কলকাতায় আসার কয়েক দিন পর ২৭ নভেম্বর বউবাজার এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এর পর থেকে তিনি কলকাতার জেলেই ছিলেন। কলকাতায় থাকার সময় সেখানে বসেই ঢাকার অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করতেন সুব্রত বাইন। সড়ক ও জনপথের বড় বড় ঠিকাদারির কাজ ভাগাভাগি করতেন। সেই চাঁদার টাকায় নদীয়ায় ৫০ বিঘা জমিসহ এক বাগানবাড়ি কেনেন।

মোল্লা মাসুদের উত্থান যেভাবে: ২০০১ সালের ২৬ ডিসেম্বর ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে সরকার। সেই তালিকায় মোল্লা মাসুদ ছিলেন ১৩ নম্বরে। তাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণার পাশাপাশি সারা দেশে ছবিসহ পোস্টার সাঁটানো হয়েছিল। দেশের ইমিগ্রেশনে তার ছবিও টাঙিয়ে দেওয়া হয়।

ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে। এরপর মোল্লা মাসুদ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আস্তানা গাড়েন। আবার ফিরে আসেন। সর্বশেষ ২০০৪ সালে ঢাকায় ‘ক্রসফায়ার’ শুরু হলে সুব্রত বাইন আস্তানা গুটিয়ে ভারতে চলে যান। তার সঙ্গে মোল্লা মাসুদও পালিয়ে যান। এর পর থেকে ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডে মোল্লা মাসুদের উপস্থিতির কথা শোনা যায়নি। তবে ভারতে বসে ঢাকায় চাঁদাবাজির কথা শোনা যেত হরহামেশা। মগবাজারের বিশাল সেন্টারে ছিল তাদের আস্তানা।

বিশাল সেন্টারের একটি দোকান নিয়ে মুরাদ নামের এক যুবক খুন হন। এই খুনই ছিল মোল্লা মাসুদের হাতেখড়ি। এরপর একে একে খুনে জড়িয়ে পড়েন মোল্লা মাসুদ। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে ৩০টির বেশি মামলা ছিল। এগুলোর মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের ভাগনে মামুন হত্যা, পুরান ঢাকায় মুরগি মিলন হত্যা। এ ছাড়া খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়ায় ট্রিপল মার্ডার নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছিল। মোল্লা মাসুদের বিরুদ্ধে কত জিডি ছিল, তার হিসাব নেই।

১৯৯৭ সালের দিকে মোল্লা মাসুদ, সুব্রত বাইন, জয়, টিক্কা, আসিফ, জন ও চঞ্চল জোট করেন। পরে দ্বন্দ্বের কারণে সেটি ভেঙে যায়। এরপরই খিলগাঁও এলাকার একটি বাসায় পাঁচ খুনের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে জন ও আসিফ ছিলেন। এই দলকে সামাল দিতে লিয়াকত-মুরগি মিলন নেপথ্যে থেকে রাজা, অপু, আনোয়ার, মশিউর রহমান কচিকে নিয়ে আলাদা একটি জোট করেন। তাদের একমাত্র কাজ ছিল ঢাকা সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারি কাজের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। পরে সেই দ্বন্দ্বের জের ধরে কচির ভাই আজাদ, মুরগি মিলন, আসিফ, জনসহ বেশ কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটে। মুরগি মিলন হত্যাকাণ্ডে মোল্লা মাসুদও জড়িত বলে অভিযোগ ছিল। ১৯৯৯ সালের দিকে সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদের গ্রুপের সদস্যরা যুবলীগ নেতা লিয়াকতের গাড়িতে হামলা করেছিলেন। এ ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান লিয়াকত। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর মোল্লা মাসুদ পরিচিতি পান রাসেল মাসুদ নামে।

পরে রিজিয়া সুলতানা নামের এক নারীকে বিয়ে করে মুর্শিদাবাদে স্থায়ী হন। কিন্তু তার পরও থেমে থাকেনি চাঁদাবাজি। ঢাকার বড় বড় ব্যবসায়ীকে টার্গেট করে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করতেন। শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গে সুব্রত বাইনের সঙ্গে থেকে জাল নোটের কারবারেও জড়িয়ে পড়েছিলেন।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!