মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মোরশেদ আলম, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৫, ০৬:৫৯ পিএম

‘যদি কথা না শোনো, জায়গা ছেড়ে দাও’, ইউএনও-ওসিদের উদ্দেশে বিএনপি নেতা 

মোরশেদ আলম, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৫, ০৬:৫৯ পিএম

সাতকানিয়া উপজেলা ঈদ পুনর্মিলনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ইদ্রিস মিয়া। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সাতকানিয়া উপজেলা ঈদ পুনর্মিলনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ইদ্রিস মিয়া। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

প্রশাসনকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ইদ্রিস মিয়া বলেছেন, ‘বিএনপির কথা শুনতে হবে, না হলে ইউএনও-ওসিগিরি ছেড়ে অন্য জায়গায় যেতে হবে।’

তিনি বলেন, প্রশাসনের অনেকেই এখনো বিএনপির নেতা-কর্মীদের ‘সাইড’ দিচ্ছেন না। তবে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হলে, প্রশাসন বাধ্য হবে তাদের কথা শুনতে।

তিনি এই বক্তব্য দেন ১০ জুন (সোমবার) সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জামাল হোসেনের আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে।

মো. ইদ্রিস মিয়া বলেন, ‘আমরা এখন এমন সময়ে আছি, যেখানে আর রাতের ভোট হবে না। হাসিনার শাসন শেষ। মানুষ জেগে উঠেছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামলে প্রশাসনের কোনো উপায় থাকবে না—তাদের কথা মানতেই হবে।’

তিনি বলেন, ‘মনোনয়ন যারই হোক, সকল নেতা-কর্মীর উচিত এক হয়ে কাজ করা।’

বক্তব্যে বিএনপির এই নেতা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা যদি মনে করেন আগের মতো সব কিছু চালিয়ে যাবেন, তাহলে ভুল করছেন। বিএনপি এবার মাঠে আছে, মাঠে থাকবে। আর প্রশাসনের কেউ পক্ষপাত করলে, তাদের অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস, যুগ্ম আহ্বায়ক মিসকাতুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পা, আজিজুল হক চৌধুরী, আসহাব উদ্দিন চৌধুরী, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, রেজাউল করিম চৌধুরী নেছার, সাইফুদ্দিন সালাম মিঠুসহ দক্ষিণ জেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইদ্রিস মিয়ার এই বক্তব্য আগামী নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করবে। বিশেষ করে মাঠপর্যায়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা ও আচরণ নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হতে পারে।

এদিকে, ইদ্রিস মিয়ার এমন খোলামেলা হুঁশিয়ারি বক্তব্যে ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় তুলেছে।

Link copied!