হালদা নদীতে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে এক মাস আগে ভেঙে যাওয়া চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মহানগর এলাকার ভুবণ মহাজন বাড়ির একটি গ্রামীণ সড়কের ভাঙা অংশ এখনো মেরামত না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা।
সড়কটির ভাঙা অংশের বেহাল অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার হাজারো মানুষ। দ্রুত সংস্কার না হলে পুরো এলাকা যেমন প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তেমনি শ্মশান ও মন্দিরে যাতায়াত করতেও আরও দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে।
শনিবার (২৮ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের ভাঙা অংশটি এড়িয়ে কষ্ট করে পার হচ্ছেন একদল শিশু ও কয়েকজন নারী। এ সময় অটোরিকশায় করে আসা এক রোগীকে বাধ্য হয়ে নেমে হেঁটে পাড়ি দিতে হয় ভাঙা স্থানটি।
স্থানীয় বাসিন্দা অধ্যাপক সুধীর বরণ দেব বলেন, ‘বন্যায় ভেঙে যাওয়া সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মন্দির ও শ্মশানে যেতে এলাকাবাসীকে সীমাহীন কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে। তা ছাড়া কৃষকরাও তাদের উৎপাদিত পণ্য আনতে-নিতে সমস্যায় পড়ছেন।’
বেবি দেব নামের এক স্থানীয় নারী জানান, ‘এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে পাশের জমির ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে। এতে পূজার সময় ও দৈনন্দিন চলাচলে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে।’
মন্দির রক্ষা কমিটির সভাপতি কেশব দেব বলেন, ‘বন্যায় সড়কটি বিধ্বস্ত হওয়ার মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো সংস্কার হয়নি। আমরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি। দ্রুত ভাঙা স্থানে একটি কালভার্ট নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী তন্ময় নাথ বলেন, ‘এলাকাবাসী স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :