শনিবার, ০৪ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৫, ১১:১৩ এএম

ফটিকছড়িতে পূজায় আনসার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৫, ১১:১৩ এএম

পূজামণ্ডপ। ছবি- সংগৃহীত

পূজামণ্ডপ। ছবি- সংগৃহীত

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে দুর্গাপূজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আনসার-ভিডিপির নামে নিয়োগ দেওয়া হয় একঝাঁক প্রশিক্ষণবিহীন ও অপেশাদার কর্মী। অভিযোগ উঠেছে- ভাতা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে স্থানীয় কর্মকর্তারা ইউনিফর্ম পরিয়ে দিনমজুর শ্রেণির লোকজনকে দায়িত্বে বসিয়েছেন।

উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, এ বছর ফটিকছড়ির ১২৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে তিন শ্রেণিতে ভাগ করে মোট ১,১৪৮ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন দেখানো হলেও অধিকাংশ মণ্ডপে এর অর্ধেক সংখ্যক কর্মীও পাওয়া যায়নি। এমনকি অনেক মণ্ডপে তালিকাভুক্ত আনসার সদস্যদের পরিবর্তে দেখা গেছে স্থানীয় যুবকদের।

গত ১ অক্টোবর সরেজমিনে হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের বড়বিল ত্রিপুরা পাড়ার কালি ও দুর্গা মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, তালিকায় নাম থাকলেও দায়িত্ব পালন করছেন চুক্তিভিত্তিক দুই স্থানীয় যুবক। প্রতিদিন মাত্র ৩০০ টাকা মজুরিতে পাঁচ দিনের জন্য তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ ওই মণ্ডপকে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং সেখানে ৮ জন আনসার থাকার কথা ছিল।

একই অবস্থা দেখা গেছে, পূর্ব ফটিকছড়ির মাতব্বরপাড়া দুর্গা মন্দিরেও। বিকেলে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কোনো আনসার সদস্য উপস্থিত নেই। পরে যারা এসেছেন, তাদের নাম তালিকার সঙ্গে মেলেনি। জানা যায়, ওই মণ্ডপে মাত্র চারজনকে চুক্তিভিত্তিক ৮ হাজার টাকায় নিয়োগ করা হয়েছে।

এসব প্রসঙ্গে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মাস্টার রতন কান্তি চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এমন ঘটনা আমাদের ব্যথিত করেছে। প্রশাসনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত ছিল।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা আনসার ভিডিপির প্রশিক্ষক মিজানুর রহমানকে অফিসে পাওয়া যায়নি। পরে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘কিছু মণ্ডপে আনসার সদস্যদের অনুপস্থিতি ও ভুয়া নাম লিপিবদ্ধ হওয়ার তথ্য পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আনসার-ভিডিপি চট্টগ্রাম ও পার্বত্য রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালক ড. মো. সাইফুর রহমান জানান, ‘বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। যারা অনিয়মে জড়িত, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।’

Link copied!