রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ১১:১৪ পিএম

অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে জীর্ণ ঘরে বাস ফাতেমার, পাশে দাঁড়ালো ‘স্মাইল বাংলাদেশ’

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ১১:১৪ পিএম

ফাতেমার পাশে দাঁড়ালো ‘স্মাইল বাংলাদেশ’। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ফাতেমার পাশে দাঁড়ালো ‘স্মাইল বাংলাদেশ’। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের ফাতেমা বেগম দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ স্বামী ও একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছিলেন একটি জীর্ণ ভাঙা টিনের ঘরে। ঘরটি এতটাই নড়বড়ে ছিল যে ঝড়–বৃষ্টি নামলেই আতঙ্কে কাটত তাদের সময়। মানবিক সহায়তার অভাবে অনিশ্চয়তার মধ্যেই কাটছিল তাদের প্রতিটি দিন।

এমন পরিস্থিতিতে পাশে দাঁড়ায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্মাইল বাংলাদেশ’। সংগঠনের উদ্যোগে ফাতেমা বেগমের পরিবারের জন্য নির্মাণ করা হয় একটি নতুন টিনশেড ঘর। তিনি উপজেলার খৈয়াচড়া ইউনিয়নের পূর্ব খৈয়াচড়া গ্রামের বাসিন্দা।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে নবনির্মিত ঘরের চাবি আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয় ফাতেমা বেগম দম্পতির হাতে।

নতুন ঘর হাতে পেয়ে আবেগাপ্লুত ফাতেমা বেগম বলেন, ‘এতদিন নিরাপদভাবে থাকার মতো জায়গা ছিল না। এখন নিজের একটি ঘর হওয়ায় পরিবার নিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারব। একটি মানবিক সহায়তা আমাদের জীবনে নতুন করে স্বস্তি ও আশা এনে দিয়েছে।’

নতুন ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্মাইল বাংলাদেশের পরিচালক নজরুল ইসলাম জয় ও সাইফুল ইসলাম ইমরান, সভাপতি রাশেদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এহসান, অর্থ সম্পাদক দিদারুল আলম মুহিবসহ সংগঠনের সদস্য আরিয়ান, ফারুক, আরিফ, সাহির ও ইমন।

সংগঠনের সভাপতি রাশেদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের একজন সদস্যের মাধ্যমে এই পরিবারের খবর পাই। যাচাই-বাছাই করে দেখি বৃদ্ধা অসুস্থ স্বামী ও ১৩ বছরের সন্তানকে নিয়ে এক চালা টিনের ঘরে অনিরাপদ অবস্থায় থাকছেন। সেটি দেখেই আমরা ঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিই। এখন তাদের জন্য একটি নিরাপদ ঘর তৈরি করতে পেরেছি—এটাই আমাদের সার্থকতা।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্মাইল বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী বিভিন্ন মানবিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা চাই মানবতার কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করতে, হাসি ছড়িয়ে দিতে ও ভালোবাসা পৌঁছে দিতে। ফাতেমা বেগমের মুখে হাসি ফুটাতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’

Link copied!