রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৫, ১২:২৫ এএম

প্রাথমিকে ফের চালু স্কুল ফিডিং

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৫, ১২:২৫ এএম

প্রাথমিকে ফের চালু  স্কুল ফিডিং

নাটোরের গুরুদাসপুরের খুবজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ফের শুরু হলো স্কুল ফিডিং কর্মসূচি। গতকাল শনিবার এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। এটি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগগুলোর মধ্যে অন্যতম বলেও জানিয়েছেন এই উপদেষ্টা।

প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে মন্তব্য করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, ‘পুষ্টির অভাব ও বিদ্যালয় চলাকালীন শিশুদের স্বল্পকালীন ক্ষুধা দূরীকরণেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এর ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা পড়ালেখায় আরও মনোযোগী হবে এবং বিদ্যালয়ে আসতে আগ্রহী হবে। এই কর্মসূচি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও সহায়তা করবে।’

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, নাটোরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আরিফ হোসেন, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম-ডাব্লিউএফপির বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ডমেনিকো স্কালপেল্লি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্পটির পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচির’ আওতায় ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫০টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩১ লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে পাঁচ স্কুল কর্মদিবসে ফর্টিফায়েড বিস্কুট, কলা বা মৌসুমি ফল, বনরুটি, ডিম এবং ইউএইচটি দুধ প্রদান করা হবে।

মন্ত্রণালয় আশা করছে, এর ফলে বিদ্যালয়ে শিশুদের উপস্থিতির হার শতকরা ৮০ ভাগের বেশি হবে এবং ঝরে পড়ার হার কমবে, প্রত্যেক বছর শতকরা ১০ ভাগের বেশি হিসেবে বিদ্যালয়ে প্রকৃত ভর্তির হার বৃদ্ধি পাবে, বিদ্যালয়ে শিশুদের ধরে রাখার হার অন্তত ৯৯ শতাংশে উন্নীত হবে, বিদ্যালয়ে শিশুদের পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের হার ৯০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পাবে।

এ কর্মসূচি শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করে মন্ত্রণালয় বলছে, পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এই কর্মসূচি সম্প্রসারণ করার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।

কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার নাটোর প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ আয়োজিত ‘প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট অংশীজনের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন।

গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!