চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক কিশোরসহ মোট তিনজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী এবং চলন্ত পাখিভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে এক যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাত ১০টা থেকে রাত ১টার মধ্যে এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
নিহত মোটরসাইকেলের দুই আরোহী হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চলের ছেলে রিয়াদ (১৩) এবং তার মুরগি খামারের কর্মী পলাশ (৩৫)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে পলাশ ও রিয়াদ একটি মোটরসাইকেলে করে কুষ্টিয়া থেকে আলমডাঙ্গার দিকে ফিরছিলেন। পথে নওদাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে দ্রুতগতির একটি পিকআপ ভ্যান তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়।
এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই রিয়াদের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় পলাশকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, রাত ১টার দিকে আলমডাঙ্গা থানার অদূরে চলন্ত ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে হান্নান হোসেন (৪৭) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি একই উপজেলার কালিদাসপুর গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হান্নান বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আলমডাঙ্গা মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড থেকে নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করে ব্যাটারিচালিত একটি পাখিভ্যানে করে উপজেলা পরিষদ গেটের দিকে যাচ্ছিলেন।
পথে আলমডাঙ্গা থানা ভবনের সামনের গতিরোধকের ওপর পাখিভ্যানটি উঠলে তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী এবং ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে একজন মারা গেছেন।
তিনি আরও বলেন, তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।