টানা তিন দিনে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলীয় অঞ্চলে মাছ শিকার শেষে ফেরার পথে ৩৩ জন বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
সর্বশেষ সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে সাত জেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম।
তিনি বলেন, অপহৃত ট্রলারটির মালিক টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল মোনাফের ছেলে উমর ছিদ্দিক।
এর আগে রোববার একইভাবে ১৪ এবং শনিবার আরও ১২ জন জেলেকে অপহরণ করে সংগঠনটি।
আবুল কালাম জানান, ‘ট্রলারে থাকা এক মাঝি মোবাইল ফোনে তাদের ধাওয়া ও অপহরণের ঘটনা জানিয়ে বলেন, স্পিডবোটে করে এসে অস্ত্রের মুখে জেলেদের জিম্মি করে ফাতংজা খালের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে আরাকান আর্মির সদস্যরা বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার শেষে ফেরার পথে বাংলাদেশি ট্রলারসহ জেলেদের জিম্মি করে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এবং ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছি।’
২৪৪ জেলে অপহরণের শিকার, ফেরত এসেছে ১৮৯ জন
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত সময়কালে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ২৪৪ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর চেষ্টায় ১৮৯ জন জেলে এবং ২৭টি ট্রলার-নৌকা ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।
জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত ও কার্যকর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ট্রলার মালিকরা।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন