রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৫, ১০:৩৫ এএম

অপহরণ নাটক সাজিয়ে প্রথম স্ত্রীর কাছে মুক্তিপণ দাবি, অবশেষে আটক

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৫, ১০:৩৫ এএম

অভিযুক্ত মো. আবু হানিফ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

অভিযুক্ত মো. আবু হানিফ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

কক্সবাজারের টেকনাফে রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালিয়ে  এক কথিত অপহৃত এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারের পরে জানা যায়, তিনি নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়ে পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন।

শনিবার (২২ নভেম্বর) রাত ১১ টা ৪০ মিনিটের সময় টেকনাফ মডেল থানার ওসি জায়েদ নূর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, শনিবার রাতে হাটহাজারী মডেল থানায় করা জিডির ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চার ঘণ্টার অভিযানে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ভিকটিম মো. আবু হানিফকে (৫৫) সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিনি সাবরাং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কুরাবুইজ্জা পাড়ায় তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবার বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন।

ওসি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আবু হানিফ স্বীকার করেন ১৩ নভেম্বর সকালে নিজের বাড়ি হাটহাজারীর চারিয়া কাজী পাড়া থেকে বের হয়ে তিনি স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে যান। প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে তিনি সম্প্রতি কুরাবুইজ্জা পাড়ার নুরুল হাকিমের বিধবা মেয়ে সানজিদা বেগমকে (৩৫) দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পারিবারিক কলহ ও দীর্ঘ ৩০ বছরের দাম্পত্য জীবনে অশান্তির কারণে তিনি দ্বিতীয় বিয়েসহ আত্মগোপনে থেকে অপহরণের নাটক সাজান।

মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে তিনি পরিকল্পিতভাবে নিজের হাত-পা শ্যালক কাসিমকে দিয়ে বেঁধে সমুদ্রপাড়ের ঝাউবাগানে গাছের সঙ্গে বেঁধে ভিডিও ধারণ করান। ধারণকৃত ভিডিওটি পরিবারের কাছে পাঠিয়ে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। উদ্ধারকালে তার কাছে ভিডিওসহ দুটি মোবাইল ফোন ও পাঁচটি সিম কার্ড পাওয়া যায়।

পুলিশ জানায়, মুক্তিপণের অর্থ পেলেই দ্বিতীয় স্ত্রী ও সৎ দুই সন্তানকে নিয়ে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমানোর পরিকল্পনা ছিল আবু হানিফের।

অভিযানের নেতৃত্বে দিয়েছেন ওসি তদন্ত কর্মকর্তা হিমেল বড়ুয়া, অপারেশন কামাল হোসেন।

উদ্ধারের পরে তাকে তার সহোদর ভাইয়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে এবং বিষয়টি হাটহাজারী মডেল থানা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্যও বলা হয়েছে।

Link copied!