শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম

দুই ট্রলারসহ ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম

বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ভাসছে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ভাসছে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বঙ্গোপসাগরের অদূরে মাছ ধরতে যাওয়া টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিনের দুটি ট্রলারসহ ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা। 

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ভোরে সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়াদিয়ার পূর্বে মাছ ধরার সময় এই ঘটনা ঘটে।

ধরে নেওয়া একটি ট্রলারের মালিক সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘বুধবার কবির মাঝির নেতৃত্বে ছয়জন জেলেকে নিয়ে আমার ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরের সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়াদিয়া এলাকায় মাছ ধরতে যায়। এ সময় বোটের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার ভোরে ছেঁড়াদিয়ার কাছাকাছি এলাকা থেকে ছয় জেলেকে আরাকান আর্মির সদস্যরা ধরে নিয়েছে বলে খবর পেয়েছি।’

অপর ট্রলারটি স্থানীয় ইলিয়াস মাঝির বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় মাছ ধরার ট্রলারের মালিক ও জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মিয়ানমারভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক জানায়, গত ২৮ অক্টোবর আরাকান আর্মির উপকূলীয় নিরাপত্তা ইউনিট সমুদ্র পথে টহল জোরদার করে। টহলের সময় আরাকান রাজ্যের জলসীমা অতিক্রম করে মাছ ধরতে থাকা কয়েকটি বাংলাদেশি ট্রলার শনাক্ত করা হয়। সেখানে তারা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ১৮৮ জন বাংলাদেশি জেলে ও ৩০টি নৌকা আটক করে পরবর্তীতে মুক্তি দিয়েছে। 

এ ছাড়াও বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী দুটি ট্রলারসহ ১২ জনকে আটক করার বিষয়টিও প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে সেন্ট মার্টিন ফিশিং ট্রলার সমবায় সমিতির সভাপতি আজিম উদ্দিন বলেন, ‘বিভিন্ন সময় মাছ ধরতে যাওয়া সাগর থেকে দেড় শতাধিক জেলেকে আটক করেছে আরাকান আর্মি। এসব জেলে এখনো তাদের হেফাজতে রয়েছে। তাদের ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।’

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘ধরে নেওয়া জেলেদের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।’

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ও স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, গত দশ মাসে অন্তত ৩৭৮ জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে বিজিবির সহায়তায় প্রায় ২০০ জনকে কয়েক দফায় ফেরত আনা হয়। এখনো ১৭৮ জেলে আরাকান আর্মির হাতে বন্দি রয়েছে।

Link copied!