রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৫, ০৫:৫৫ পিএম

‘দেশে জমি রক্ষা করতে পারছি না’, আক্ষেপ প্রবাসীর মায়ের

মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৫, ০৫:৫৫ পিএম

‘দেশে জমি রক্ষা করতে পারছি না’, আক্ষেপ প্রবাসীর মায়ের

নাহার বেগমের ফসলি জমির পাশে ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। ছবি-রূপালী বাংলাদেশ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন হাটাস গ্রামের বৃদ্ধা নেহারা বেগম। তার স্বামী কুদ্দুস মিয়া দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ, দুই ছেলে প্রবাসে। পরিবারে আর কেউ না থাকায় সবকিছু নিজেকেই সামলাতে হয়।

কিছুদিন আগে খবর পান তার একমাত্র ফসলি জমির পাশে ড্রেজার বসিয়ে মাটি কেটে নিচ্ছেন মাহাবুব ও তাফুল নামে দুই মাটি ব্যবসায়ীর একটি চক্র। 

খবর পেয়ে নিজের ফসলি জমির কাছে গিয়ে দেখেন ড্রেজার মেশিন জমির বুক চিরে মাটি তুলে নিয়ে বিশাল পুকুরে পরিণত করেছে। এ দৃশ্য দেখে মাটি তুলতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন বৃদ্ধা নেহারা বেগম।

তার বাধার তোয়াক্কা না করে উল্টো তাকে জমির কাছে গেলে মারধরের হুমকি দেন ড্রেজার ব্যবসায়ীরা। ভয়ে বাড়ি চলে আসেন নেহারা।

তবু নিজের জমিটুকু রক্ষার জন্য গত (১৩ মে) মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ভূমি ও বাঙ্গরা বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো সুরাহা না পেয়ে এখন দিশাহারা হয়ে পড়েছেন নেহারা বেগম। 

নিজের কৃষি জমি রক্ষার চেষ্টার কথা সাংবাদিকদের কাছে বর্ণনা করে বৃদ্ধা নেহারা বেগম বলেন, ‘অভিযোগ দেওয়ার পর ৫দিন অতিবাহিত হলেও এখনো প্রশাসনের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়েনি।’

তিনি বলেন, ‘আমি কি নিজের জমিটা রক্ষা করতে পারব না। আমার ছেলেরা দেশের জন্য রেমিট্যান্স পাঠায়, আর দেশে আমার একটা জমি রক্ষা করতে পারছি না। এটাই কি তাহলে প্রতিদান।’

জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব ধইর পশ্চিম ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামের মাহাবুব মিয়ার কাছ থেকে জমি কেনেন পূর্ব ধইর গ্রামের তাফুল মিয়া। এরপর ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন শুরু করে তাফুল মিয়াসহ তার লোকজন। এলাকায় অনেকে তাদের ড্রেজারে মাটি কাটায় বাধা দিলেও কোনো তোয়াক্কা করছে না তাফুল গংরা।

ড্রেজার ব্যবসায়ী তাফুল মিয়া বলেন, ‘ড্রেজার একটু একটু চলে, বেশি চালাইতে পারি না।’

কৃষি জমিতে ড্রেজার চালানো অবৈধ, তাহলে কীভাবে চালাচ্ছেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে সব ভেঙে দিয়েছে, পরে আবার ঠিকঠাক করছি।’

বাঙ্গরা বাজার থানা ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘নেহেরা বেগমের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে ড্রেজার বন্ধ করা হয়েছে। ড্রেজার ব্যবসায়ীদের কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।’
 
সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাসান খান বলেন, ‘সেখানে একবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এখন আবার ওই ইউনিয়নের তহশিলদার বলেছি, বিষয়টি দেখে আমাকে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!