ঢাকা রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫

ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে পেটালেন অভিভাবক 

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৫, ০৩:৫৪ পিএম
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার নাথেরপেটুয়া ইউনিয়নে ভোগই আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে উচ্চস্বরে কথা বলায় এক ছাত্রকে বেত্রাঘাত করেন শিক্ষক। বিষয়টি শুনে ছাত্রের বাবা ওই  শিক্ষককে না পেয়ে মারধর করেন প্রধান শিক্ষককে।    
 
শনিবার (২৪ মে) বিকেল ৪টার দিকে মনোহরগঞ্জ উপজেলার নাথেরপেটুয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। 

মারধরের শিকার প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস ভুঁইয়া নাথেরপেটুয়া মর্ডান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে সহকারী শিক্ষক শাখাওয়াত হোসেন সপ্তম শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছিলেন। ক্লাস চলাকালে নবম শ্রেণির কক্ষ থেকে দুই ছাত্র উচ্চস্বরে কথা ও হাসিঠাট্টা শুরু করেন। ক্লাস শেষে নবম শ্রেণিতে যান ওই শিক্ষক।

এ সময় উচ্চস্বরে কথা ও হাসিঠাট্টা করার বিষয়টি জানতে চাইলে নবম শ্রেণির ছাত্র ফাহাদ বলে, দশম শ্রেণির ছাত্র সালমানসহ হাসিঠাট্টা করেছি।  এতে কোনো দোষের কিছু আছে? 

ফাহাদ আরও খারাপ আচরণ শুরু করলে শাখাওয়াত তাকে বেত্রাঘাত করেন।

বেত্রাঘাতের বিষয়টি অভিভাবকদের জানায় সে। তখন ওই ছাত্রের আত্মীয় হাবিব ও বাবা খোরশেদ আলম মিন্টুসহ কয়েকজন বিষয়টি জানার জন্য স্কুলে আসেন। শিক্ষকরা বেত্রাঘাতের কারণ জানান। 

ঘটনা শুনে অভিভাবকরা শিক্ষকদের জানান, এভাবে মারধর করা ঠিক হয়নি। বিষয়টি তাদের জানালে ভালো হতো।

ছাত্র ও শিক্ষকের বিষয়টি স্কুল কমিটি বিচার করবে বলে জানান প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস ভুঁইয়া। এ সময় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করেন হাবিব। একপর্যায়ে ছাত্রের বাবা খোরশেদ প্রধান শিক্ষককের ওপর হামলা চালান। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। শিক্ষকেরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

সহকারী শিক্ষক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ক্লাস চলাকালীন নবম শ্রেণির ছাত্র ফাহাদ উচ্চস্বরে কথা ও হাসিঠাট্টা করার কারণে আমি তাকে শাসন করেছি। তাকে জোরালোভাবে বেত্রাঘাত করিনি। সে বাইরে গিয়ে লোকজন নিয়ে এসে আমাকে আঘাত না করে প্রধান শিক্ষক স্যারকে মেরেছে। হাবিব নামে ব্যক্তিটি স্যারের গায়ে আঘাত করেছেন। তিনি এ প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হতে চান। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহি বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ওই স্কুলে সেনাবাহিনী পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মনোহরগঞ্জ থানার ওসি বিপুল চন্দ্র দে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্র ফাহাদ এবং তার বাবা খোরশেদ আলম মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। বর্তমানে তারা থানায় রয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।