সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২৫, ০১:৩৫ পিএম

মুরাদনগরকাণ্ডে সামনে এলো নতুন ভিডিও

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২৫, ০১:৩৫ পিএম

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা।        ছবি- সংগৃহীত

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা। ছবি- সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরের চাঞ্চল্যকর ধর্ষণকাণ্ড এখন সোশ্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সময়ের পরিক্রমায় এই ঘটনায় যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। সম্প্রতি আরও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

‘তোদের বাপ আইছে’ নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মুহাম্মদ আলী সুমনের নেতৃত্বে রমজান, অনিক, আরিফসহ ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল ধর্ষণে অভিযুক্ত ফজর আলীকে পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতন করছে। বিবস্ত্র করে বেঁধে নির্যাতনের ফলে তার শরীর, হাত ও মাথা থেকে রক্ত ঝরছে।

অপরদিকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা সুমনের সহযোগী অনিক ওই নারীকে নিজ হাতে বিবস্ত্র করছে। নারীকে বিবস্ত্র করে দুজনকে একসঙ্গে করে হাত-পা বেঁধে ভিডিও ধারণ করছে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। স্থানীয়রা বিষয়টিকে পরকীয়া হিসেবে দাবি করলেও ভুক্তভোগী নারী জানান, তার সঙ্গে ফজর আলীর আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক রয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ পৃথক দুটি মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া খোকন বলেন, ‘ওই নারী ও ফজর আলীর মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। দুই মাস আগে ফজর আলীর ছোট ভাই শাহপরান ওই নারীর সঙ্গে তার ভাইয়ের পরকীয়া নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিল। তাদের পরকীয়ার বিষয়টি আমাদের এলাকার সবাই জানে। এ ছাড়া ওই পরিবারের সঙ্গে ফজর আলীর আর্থিক লেনদেন রয়েছে। সেই সুবাদে ফজর আলী ওই বাড়িতে নিয়মিত আসা-যাওয়া করত।

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা সুমনই ঘটনার নেপথ্য কারিগর দাবি করে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঘটনাটিকে এত বড় করার নেপথ্যের কারিগর হচ্ছেন ছাত্রলীগ সভাপতি মুহাম্মদ আলী সুমন। তারা আগে থেকে ওঁৎ পেতে থেকে দুজনকে ধরেছে। পরে পরিকল্পিতভাবে বিবস্ত্র ও নির্যাতন করে এসব ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করেছে।’

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে ওই চক্রটি ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে এহেন কাজ করে থাকতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে বাহেরচর এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ বলেন, ‘ফজর আলী একটা খারাপ লোক। এলাকায় বিভিন্ন নারীর পেছনে ঘুরে ঘুরে অপকর্ম করাই তার কাজ। তার সঙ্গে ওই নারীর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। এটা এলাকার সবাই জানে।’

স্থানীয় পেয়ারা বেগম বলেন, ফজর আলীর সঙ্গে ওই নারীর চার বছর যাবৎ পরকীয়া প্রেম চলছিল। তাকে হাতেনাতে ধরার জন্যই সেদিন রাতে ওঁৎ পেতে বসেছিল সুমন, রমজান, অনিকসহ ১৫ থেকে ২০ জন।’

সোমবার সকালে কথা হলে মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, ‘নতুন কোনো ভিডিও এখনো আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়নি। আমরা মামলার অগ্রগতি নিয়ে কাজ করছি। সিনিয়র অফিসাররা মামলাটি অধিকতর তদন্তের কাজ তদারকি করছে। নতুন ভিডিও হাতে পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি ভাইরালের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!