রবিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৫, ০৪:৩৭ পিএম

ফুলবাড়ীতে তিন দিনের বৃষ্টিতে আমন ধান ও সবজির ব্যাপক ক্ষতি

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৫, ০৪:৩৭ পিএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় টানা তিন দিনের দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতে আধাপাকা রোপা আমন ধানের গাছ, আগাম আলু ও রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ঝড়বৃষ্টিতে নুয়ে পড়েছে আধাপাকা আমন ধানের গাছ। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আমন চাষিরা। পাশাপাশি আগাম আলু ও রবি শস্যের ক্ষেতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কদিনের মধ্যেই ফসল ঘরে তুলতে পারতেন কৃষকরা; এখন তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৮৮ হেক্টর জমির আধাপাকা ধান নুয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও আগাম রোপণ করা ৫ হেক্টর আলু এবং ৬ হেক্টর শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে। আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত একই আবহাওয়া থাকার সম্ভাবনা থাকায় ক্ষতির মাত্রা আরও বাড়তে পারে।

চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৮ হাজার ১৪৮ হেক্টর জমিতে আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে, যার মধ্যে ৬৫০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের সবজি চাষের পরিকল্পনা ছিল। এ ছাড়া এবার ১ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আধাপাকা আমন ধানের শীষ মাটিতে নুয়ে পড়ে পানিতে ডুবে রয়েছে। এতে ফলন ও গুণগত মান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। অপরদিকে বৃষ্টিতে আগাম রোপণ করা আলু ও সবজি খেতে পানি জমে পরিস্থিতি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

আলাদীপুর ইউনিয়নের উত্তর রঘুনাথপুর এলাকার কৃষক মহিদুল ইসলাম দেড় বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। সপ্তাহ দুয়েক পর ধান কাটার কথা ছিল। তিনি বলেন, ‘কষ্ট করে ধান চাষ করে কাটার সময় হলো, তখনই বৃষ্টিতে পাকা ধান নষ্ট হয়ে গেল। জমিতে পানি জমে শীষ ভিজে যাচ্ছে। আলুর খেতেও পানি থৈ থৈ করছে।’

দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ৩ থেকে ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৮৮ হেক্টর জমির ধান, ৫ হেক্টর আলু ও ৬ হেক্টর শাকসবজিতে ক্ষতি হয়েছে। আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিকূল আবহাওয়া থাকতে পারে, ফলে ক্ষয়ক্ষতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে—যেসব ধানের গাছ শুয়ে পড়েছে সেগুলো গোছা করে বেঁধে রাখতে; এতে ক্ষতি কিছুটা কমবে।’

Link copied!