বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


আফরোজা লূনা, গাইবান্ধা

প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৫, ০৬:০৬ পিএম

তিস্তা সেতুকে ঘিরে দুই পাড়ের মানুষের উৎসব

আফরোজা লূনা, গাইবান্ধা

প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৫, ০৬:০৬ পিএম

তীস্তা পাড়ের মানুষের ইচ্ছ্বাস, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের গাড়ি ঘিরে তারা। ছবি- সংগৃহীত

তীস্তা পাড়ের মানুষের ইচ্ছ্বাস, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের গাড়ি ঘিরে তারা। ছবি- সংগৃহীত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুরে তিস্তায় নতুন ‘মওলানা ভাসানী সেতু’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন সম্পন্ন হয়েছে। সেতু চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তা পাড়ের স্থানীয় মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

তিস্তা নদীর তীরবর্তী তিন জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পর এই সেতু উদ্বোধন করা হলো। নদীর দুই পাড়ের হাজার হাজার মানুষ, বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলের বাসিন্দারা নিরাপদ সংযোগ ফিরে পেয়ে আনন্দিত। নতুন সেতুর কারণে চরাঞ্চল এখন নতুন জনপদে পরিণত হয়েছে এবং স্থানীয়রা নতুন স্বপ্নে বিভোর হয়ে উঠেছেন।

সেতুটি বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। হরিপুর প্রান্তে উদ্বোধনের পর তিনি সেতু পার হয়ে চিলমারী প্রান্তে ফিতা কেটে এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের গাড়ি ঘিরে তীস্তা পাড়ের সাধারণ মানুষ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

আজই সেতুটি যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য চালু করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ সেতু পার হয়ে এসেছেন। নতুন সেতুর মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের তিন জেলা—কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধার প্রায় ৩৫ লাখ মানুষের যোগাযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। 

স্থানীয়রা আশা করছেন, সেতুটি এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে চিকিৎসা সুবিধা, কৃষিপণ্য পরিবহন ও ঢাকায় পণ্য পৌঁছে দেওয়া সহজ হবে।

গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার মধ্যে সংযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১৪ সালে প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সেতুর ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করা হয়।

মওলানা ভাসানী সেতু। ছবি- ভিডিও থেকে নেওয়া

২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা হয় এবং নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় চীনের চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন (সিএসসিইসি)। ২০২১ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং চলতি বছরের জুলাই মাসে সকল কাজ সমাপ্ত হয়।

সেতুটি প্রায় ১,৪৯০ মিটার দীর্ঘ এবং ৯.৬ মিটার প্রস্থের পিসি গার্ডার, ৩১টি স্প্যান, নদী শ্বাসন ৩.৫ কিলোমিটার। এর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯২৫ কোটি টাকা। সেতু চালু হলে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের দূরত্ব প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার কমে আসবে এবং যাত্রা সময় ৩–৩.৫ ঘণ্টা সাশ্রয় হবে। 

সেতুটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্থানীয়রা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

স্থানীয়রা জানান, শুধু গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের নয়, বরং উত্তরাঞ্চলের তিস্তা তীরবর্তী আরও কয়েকটি জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগও সহজ হবে।

Link copied!