গাজীপুরের শ্রীপুরে বিএনপি নেতার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন, হুমকি ও মারধর করে ৩০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা-পয়সা লুট করে নেয়। ২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ঘরের দরজা ভেঙে পিস্তল ঠেকিয়ে সবকিছু লুট করে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দিবাগত রাতে শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মো. আফাজ উদ্দিন মণ্ডল স্থানীয় ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এবং শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি গ্রামের প্রয়াত শুক্কুর আলী মণ্ডলের পুত্র।
আফাজ উদ্দিন মণ্ডল জানান, ‘আমার বাড়ির চারদিকে সীমানা প্রাচীর রয়েছে। ডাকাত দল প্রাচীর টপকে বাড়ির ভেতরে ঢোকে। লোডশেডিং থাকায় আমি দরজা খোলা রেখে ঘুমিয়ে পড়ি। হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। দেখি চারজন মুখোশধারী আমাকে ঘিরে রেখেছে—একজনের হাতে পিস্তল, বাকিদের হাতে দেশীয় অস্ত্র। তারা এলোপাতাড়ি মারধর করে, মাথায় পিস্তল তাক করে হুমকি দেয়। অন্য ঘরগুলোর দরজা ভাঙার শব্দ শুনি। আমি প্রাণ বাঁচাতে বলি, যা আছে নিয়ে যান, আমার সন্তানদের যেন কিছু না করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় ৪০–৫০ মিনিট ধরে তারা লুটপাট চালায়। আমার ঘর থেকে ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা, প্রায় ১৮ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার এবং কয়েকটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। আমার জমির দলিল ও মামলার কাগজপত্রও নিয়ে গেছে। যাবার সময় আমাদের সবাইকে জামাকাপড় দিয়ে হাত-পা বেঁধে হুমকি দিয়ে চলে যায়।’
আফাজ উদ্দিনের পুত্রবধূ মাহমুদা আক্তার বলেন, ‘রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ দরজার বিকট শব্দে জেগে উঠি। জিজ্ঞেস করতেই তারা বলে “আমরা ডাকাত, শব্দ করলে সবাইকে মেরে ফেলব।” এরপর দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সবকিছু তছনছ করে। নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও তিনটি মোবাইল ফোন লুটে নেয়। শেষে সবাইকে হাত-পা বেঁধে চলে যায়।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডাকাতির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’