গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীতে ট্রাভেল ব্যাগে পাওয়া খণ্ডিত মরদেহের মাথা অবশেষে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভয়াবহ এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ছাড়াও নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে- তিনি নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুর গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় গাড়িচালক মো. অলি মিয়া (৩৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে টঙ্গী পূর্ব থানাধীন স্টেশন রোড এলাকার রাস্তার পাশে একটি ট্রাভেল ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। ব্যাগটি খুলে ভেতরে পাওয়া যায় হাত, পা, কোমর ও বুকসহ মোট আট টুকরো করা মানবদেহ। তবে মাথাটি পাওয়া যায়নি।
লাশ উদ্ধারের পরপরই ঘটনাটি রহস্যজনক হয়ে ওঠে। লাশ শনাক্ত ও মাথা উদ্ধারে পুলিশ ও র্যাব যৌথ অভিযান শুরু করে।
শনিবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পশ্চিম বনমালা এলাকার হোসেন পাগলার মাজারসংলগ্ন ফকরুল ইসলামের বাড়ির দ্বিতীয় তলার টয়লেটের ফলস সিলিং থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকালে মাথাটি কালো পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ছিল। উদ্ধারকৃত মাথাটি আগের দেহাংশের সঙ্গে মিলে গেছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, প্রথমে টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই মেহেদীর নেতৃত্বে বাপ্পি নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম থেকে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। নিহতের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ব্যক্তিগত বিরোধ থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই পুরো ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।’