ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

শ্রীপুরে র‍্যাবকে অবরুদ্ধের ঘটনায় দুই মামলা, গ্রেপ্তার ১৪

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ১০:২৪ পিএম
শ্রীপুরে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে গিয়ে র‍্যাব সদস্যদের মারধর। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

গাজীপুরের শ্রীপুরে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের সময় র‍্যাব সদস্যদের মারধর, গাড়ি ভাঙচুর ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ১৭২ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনসহ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে র‍্যাব-১। এ ঘটনায় একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ও দুই নারীসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শ্রীপুর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন র‍্যাব-১ উত্তরা অফিসের ওয়ারেন্ট অফিসার মো. জাফর ইকবাল।

হামলায় আহত র‍্যাব সদস্যরা হলেন সোহাগ হোসেন (২৮), গোলাম মোর্শেদ (২৭), সোহবান আলী (৪০) ও মাহবুব (২৮)।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: শাখাওয়াত হোসেন (২৩), সাব্বির হোসেন (২০), মাহমুদুল হাসান (২৫), আরাফাত হোসেন আকিব (২৩), শফিজুল হক (২৮), মো. সাগর (২৩), মো. মাসুদ (৪৮), মোফাজ্জল (২৭), মো. মারুফ (১৮), শাহজাহান (৪২), আবুবকর সিদ্দিক (২৫), সাহেব আলী (৫৫), মোছা. আঞ্জুমান (২১) ও মোছা. স্মৃতি (২৮)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রোববার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে, র‍্যাবের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আসামি ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেনের দোকানে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এরপর র‍্যাব-১-এর একটি দল বরমী ইউনিয়নের বরামা চৌরাস্তা এলাকায় তার দোকানে তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করে। পরে মোশাররফকে হাতকড়া পরিয়ে র‍্যাবের গাড়িতে তোলা হয়।

এ সময় অভিযুক্তদের উসকানিতে আশপাশের লোকজন র‍্যাবের দুটি গাড়ি অবরুদ্ধ করে। মারধর করে ছিনিয়ে নেওয়া হয় মোশাররফকে। দফায় দফায় হামলা চালিয়ে র‍্যাবের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এতে র‍্যাবের চার সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে র‍্যাব সদস্যদের উদ্ধার করে। ঘটনার পর রাতভর অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ‘র‍্যাব সদস্যদের অবরুদ্ধ করে মারধর ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। একটি বিদেশি পিস্তল ও ১৪ জন আসামিকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে গিয়ে অবরুদ্ধ হয় র‍্যাব-১। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।