গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) সমাবেশে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৬ জুলাই) এ সংঘর্ষে নিহতদের পরিচয় জানা গেছে।
নিহতরা হলেন— গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা দীপ্ত সাহা (২৫), কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮), টুঙ্গীপাড়ার সোহেল রানা (৩০) ও গোপালগঞ্জ সদরের ইমন (২৪)।
এদিকে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মোহাম্মদপাড়া এলাকার সুমন বিশ্বাসকে (২০) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত সুমন বলেন, তিনি সদর উপজেলার পাচুরিয়া এলাকার এনএসআই কোয়ার্টারের পেছনে একটি পানি সরবরাহকারী কোম্পানিতে কাজ করেন। দুপুরে এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হলে তিনি কাজ থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান এবং একটি গুলি তার পেটের ডান পাশ দিয়ে ঢুকে সামনের দিকে বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে তার ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপরই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
ঢামেক জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, তার পেটের সামনে ও পাশে দুটি গুলির ক্ষত রয়েছে এবং ডান হাতের একটি আঙুলও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আপনার মতামত লিখুন :