যশোরে ৩ বছরের শিশু খাদিজা খাতুনের রহস্যজনক মৃত্যুকে হয়েছে। এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন শিশুটির বাবা হেলাল। তিনি বলেন, ‘সামিয়া খাতুন সুখে সংসার করতে শিশুকন্যা খাদিজাকে হত্যা করেছে।’
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের তরফসিংহ গ্রামে সৎ-পিতার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ৪ বছর আগে মণিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের মাসনা হেলালের সঙ্গে সামিয়া খাতুনের বিয়ে হয়েছিল। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। পারিবারিক কলহের জের ধরে কয়েক মাস আগে তাদের সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটে।
এরপর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের তরফ সিংহ গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে শহিদুল ইসলামের সঙ্গে সামিয়ার বিয়ে হয়। ৩ বছরের শিশু খাদিজা মায়ের সঙ্গে সৎ-পিতার বাড়িতে থাকত। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে সেখানে খাদিজার মৃত্যু হয়।
নিহতের পিতা হেলালের অভিযোগ, দ্বিতীয় স্বামীর সংসারে সামিয়া খাতুনের কাটা ছিল শিশুকন্যা খাদিজা। এ জন্য সামিয়া তাকে কৌশলে হত্যা করেছেন। পরে ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে অসুস্থ হয়ে তার মেয়ে মারা গেছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। তিনি ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করেছেন।
তবে মেয়েকে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সামিয়া খাতুন। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে খাদিজা অসুস্থ ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ খাদিজা মারা যায়।পরে খালা সোনিয়ার মাধ্যমে হেলালকে মেয়ের মৃত্যুর খবরটি জানানো হয়।’
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত বলেন, ‘শিশু খাদিজার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এ ছাড়া নিহতের পিতা হেলালের অভিযোগ তার সাবেক স্ত্রী সামিয়া মেয়েকে হত্যা করেছে।’
তিনি জানান, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান ওসি।
আপনার মতামত লিখুন :