শনিবার, ০৫ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম

টাকা ধারের নামে প্রতারণা, চেক ডিজঅনার মামলা করায় হুমকি!

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম

অভিযুক্ত দবির হোসেন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

অভিযুক্ত দবির হোসেন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

যশোরে ব্যবসায় বিনিয়োগের নামে মেহেদি হাসান নামে এক যুবকের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়ে ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী দাবি করছেন, বর্তমানে ওই টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে নানা ফন্দি আঁটছেন অভিযুক্ত কর্মকর্তা দবির হোসেন। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করার পর থেকেই তিনি বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন মেহেদি।

ভুক্তভোগী মেহেদি হাসান যশোর সদর উপজেলার ইছাপুর গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে। তিনি বলেন, ‘টাকা ধার দিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছি। এমনকি আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না।’

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, যশোর সদরের নোঙরপুর গ্রামের মমরেজ মোল্যার ছেলে দবির হোসেন বর্তমানে রাজশাহীর বাঘা জাদুঘরে সহকারী কাস্টডিয়ান হিসেবে কর্মরত। কয়েক মাস আগে ব্যাবসায় বিনিয়োগের কথা বলে তিনি মেহেদির কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা ধার নেন। পূর্বপরিচিত হওয়ায় বিশ্বাস করে মেহেদি তাকে ওই টাকা দেন।

পরে টাকা ফেরত চাইলে, গত ৯ মার্চ দবির হোসেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, দিলকুশা শাখার একটি ১২ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন (হিসাব নম্বর: ৭৩২১৩৪৪০৪০১০০৬৬৭৭, চেক নম্বর: ১০৭৮৭০৩৭৫)। তবে ১০ মার্চ যশোর শাখায় চেকটি জমা দিলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তা ডিজঅনার করে, কারণ তার হিসাবে কোনো টাকা ছিল না।

পরে ২০ মার্চ দবির হোসেনকে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। এরপরও টাকা ফেরত না পাওয়ায় মেহেদি হাসান গত ৫ মে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চেক ডিজঅনার মামলা করেন।

মেহেদি হাসান জানান, বর্তমানে দবির হোসেন ১২ লাখ টাকা আত্মসাত করতে ফন্দিফিকির করছেন। মামলা করার পর তাদের ওপর বেজায় চটেছেন। নানা ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে বলছেন ‘আমি মন্ত্রণালয়ের অধিনে চাকরি করি, কেউ আমার কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারবেন না’। 

মেহেদি হাসান আরও জানান, মোটা অঙ্কের টাকা হারিয়ে তিনি এখন নিঃস্ব হতে চলেছেন। টাকা ফেরত না পেলে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের দাবি, দবির হোসেন দীর্ঘদিন ধরে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে মেহেদির মতো আরও অনেকে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।

এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে মুঠোফোনে কল করা হলে দবির হোসেন জানান, ‘এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না এবং কিছু বলতে চাইছিনা। যদি কিছু হয়ে থাকে সেইভাবে প্রস্তুতি চলবে। আমার কাছে জিজ্ঞাসা করার কিছু নাই। আপনি কি সাংবাদিক হিসেবে আমার বক্তব্য নিতে পারেন! আমরা তো অফিস চালাই।’

Shera Lather
Link copied!