যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট এলাকার একটি দোকানে সংঘটিত দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মূল চোরকে গ্রেপ্তার করেছে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি শার্শা উপজেলার রামপুর গ্রামের মমতাজ রহমানের ছেলে সাজু। শনিবার (২ আগস্ট) রাতে শার্শার একটি জনবসতিহীন মাছের ঘেরে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার কয়েক সহযোগী পালিয়ে যায়।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি রাসেল মিয়া জানান, শুক্রবার রাতে চেকপোস্ট সংলগ্ন সাদিপুর রোডে ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনের ফ্লেক্সি লোডের দোকানে তালা ভেঙে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। ঘটনার পর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আজিজুল হক ও ভুক্তভোগী দোকান মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ওসি আরও জানান, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও চুরি হওয়া মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে চোরের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর একটি নির্জন মাঠঘেরা মাছের ঘেরে অভিযান চালিয়ে সাজুকে আটক করা হয়।
অভিযানকালে চোরদের আস্তানা থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত হাতুড়ি, রড, রেঞ্জ, ছুরি ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাজু স্বীকার করেছে, চুরি করা টাকা তার সহযোগী রুবেলের কাছে রয়েছে, যিনি বর্তমানে পলাতক। তাকে গ্রেফতার করা গেলে পুরো টাকা উদ্ধার সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ওসি রাসেল মিয়া।
বন্দর চেকপোস্ট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আজিজুল হক বলেন, চুরির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং পুলিশকে অবহিত করি। পুলিশ দ্রুত সময়ের মধ্যে মূল চোরকে গ্রেফতার করেছে-এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
তিনি আরও জানান, পুলিশের তথ্যমতে, এই চক্রে আরও সদস্য রয়েছে যারা পেশাদার চুরি ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। তারা লোকালয় থেকে দূরে একটি মাছের ঘেরে পরিবার ছাড়া অবস্থান করছিল। পুলিশ ইতোমধ্যে সেই আস্তানাও গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে সকল দোকানিকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :