যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে সুইপার দিয়ে কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ উঠেছে। তিনি রীতিমতো রোগীদের প্যাথলজি পরীক্ষার ব্লাড টানছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিকভাবে তদারকি ব্যবস্থা ও জবাবদিহিতা না থাকায় একজন সুইপার এমন সাহস পাচ্ছেন বলে সূত্রের দাবি।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, সরকারি এই হাসপাতালে প্যাথলজি বিভাগে পরীক্ষা করতে আসার রোগীরা লাইনে আছে। সিরিয়ালে রোগীর ব্লাড নিচ্ছেন সুইপার সুশান্ত কুমার দাস। তাকে ল্যাব সহকারী মনে করে রোগীরাও ব্লাড দিচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে পারভেজ হোসেন নামে একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) রয়েছে। এ ছাড়া ৪ জন ল্যাব সহকারী দায়িত্ব পালন করেন। তারা হলেন- রফিকুল ইসলাম, খাদিজা খাতুন, কামাল হোসেন ও সাইফুল ইসলাম। এরপরও সুইপার রোগীর ব্লাড নেওয়ার দায়িত্ব পালন করছেন।
রেজাউল ইসলাম নামে এক রোগীর স্বজন জানান, ব্লাড নেওয়া ব্যক্তি সুইপার এটা তিনি জানতেন না। জানলে কোনোভাবে তার রোগীকে ব্লাড নিতে দিতেন না। সরকারি হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে এমন কাণ্ডে তিনি অবাক হয়েছেন।
হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, সুইপার সুশান্ত কুমার দাস প্রতিনিয়ত রোগীদের ব্লাড নিয়ে থাকেন। হাসপাতাল পরিচ্ছন্নের কাজ না করে তিনি কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে প্যাথলজিতে কাজ করে চলেছেন।
সুইপার হয়েও ল্যাবে কাজ করার বিষয়ে সুশান্ত কুমারের কাছে জানতে চাইলে সুশান্ত বলেন, ‘মামা নিজেদের লোক হয়ে সবকিছু ধরলে হয়’ ভিডিও করার কি দরকার ছিল মামা।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পারভেজ হোসেন জানান, ল্যাব সহকারীরা ভেতরের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে সুশান্ত কুমার রোগীদের ব্লাড টানছিলেন। ওই সময় জানতে পারলে তিনি এ কাজ করতে দিতেন না।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, প্যাথলজিতে ৪ জন ল্যাব সহকারী রয়েছেন। সুইপার রোগীদের ব্লাড নেওয়ার বিষয়টি অবশ্যই অন্যায়। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন