মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নলছিটি (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৫, ০৬:০৯ পিএম

নেশাগ্রস্ত ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন মা

নলছিটি (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৫, ০৬:০৯ পিএম

নলছিটি থানা। ছবি- সংগৃহীত

নলছিটি থানা। ছবি- সংগৃহীত

ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ঝালকাঠির নলছিটিতে এক মা নিজেই থানায় অভিযোগ দায়ের করে নেশাগ্রস্ত ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নলছিটি থানা পুলিশের একটি দল নিয়ে অভিযুক্ত ছেলেকে ধরতে যায় তার বাড়িতে। এ সময় মা ফরিদা বেগম নিজেও উপস্থিত ছিলেন। তবে পুলিশ দেখে পালিয়ে যায় সোহাগ। পরে স্থানীয় গ্রামপুলিশের সহায়তায় তালতলা বাজার থেকে তাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেন মা নিজেই।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাদারঘোনা এলাকার বাসিন্দা মো. হানিফ জোমাদ্দারের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৫২) গত ৪ আগস্ট (সোমবার) নলছিটি থানায় ছেলেকে নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার ছেলে সোহাগ জোমাদ্দার (৩২) দীর্ঘদিন ধরে কোনো কাজকর্ম না করে মায়ের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করার চেষ্টা করে আসছেন। টাকা না দিলে গালিগালাজ, ভয়ভীতি ও ভাঙচুর করেন। সম্প্রতি সোহাগ এক লাখ টাকা দাবি করেন এবং না দিলে ঘরে আগুন দেওয়ার হুমকি দেন।

গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় ফের টাকা চাওয়ার পর মা অস্বীকৃতি জানালে সোহাগ লাঠি নিয়ে হামলার চেষ্টা করে। এ সময় ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও কাপড়-চোপড় পুড়িয়ে দেয়। এতে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

ভুক্তভোগী ফরিদা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে নেশাগ্রস্ত হয়ে প্রায়ই টাকাপয়সা দাবি করে। না দিলে মারধর করে, গালিগালাজ করে, ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। বাধ্য হয়েই থানায় অভিযোগ করেছি এবং নিজেই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।’

এ বিষয়ে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, ‘অভিযুক্ত সোহাগকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও চুরিসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মা নিজেই উপস্থিত থেকে তাকে ধরিয়ে দিয়েছেন। ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রমাণও পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

Shera Lather
Link copied!