স্বাস্থ্যখাত সংস্কার এবং বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। বুধবারও বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ এবং শেবাচিম হাসপাতালের সামনে শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি চলবে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিমানবন্দর থানাধীন নথুল্লাবাদ এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের বর্তমান অবস্থান জানান সংগঠক মহিউদ্দিন রনি। এ সময় তিনি স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে রোববার একই ধরনের কর্মসূচি পালন শেষে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমকে বরিশালে এসে শেবাচিমের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। কিন্তু সময়সীমা অতিক্রান্ত হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস মেলেনি। যদিও সোমবার শেবাচিম কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালকে অনিয়মমুক্ত ও নিরাপদ চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে তিন মাসের সময় চেয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া এবং শেবাচিমের অনিয়ম বন্ধসহ ৩ দফা দাবিতে দুই সপ্তাহ ধরে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলছে। সরকারের কোনো সাড়া না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে সড়ক অবরোধসহ অন্যান্য কর্মসূচি অব্যাহত রাখা হচ্ছে। তিনি ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে পদত্যাগের আহ্বান জানান।
গত সোমবার বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী শেবাচিমের সামনে আমরণ অনশন শুরু করে। মঙ্গলবার অনশনকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ জনে। ২০২২ সালে রেলওয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে আলোচিত রনি জানান, বুধবার অনশনকারীর সংখ্যা আরও বাড়বে এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরিশালে না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে ৬ষ্ঠ দিনের মতো নথুল্লাবাদ এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে, যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দুপুরে বরিশাল সদর রোডও অবরোধ করা হয়। বিকেল ৫টার দিকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীরা যৌক্তিক দাবির পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন