ময়মনসিংহ শহরে এক নারী যাত্রাশিল্পীকে রাস্তা থেকে ধরে মারধর, চুল কেটে ও মুখে কালি মেখে নির্যাতনের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছেন, নির্যাতনের শিকার ওই নারী মামলা করার পর শাহ আলম (৪০) নামের ওই ব্যক্তিকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন। শুক্রবার বিকেলে তাকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার শাহ আলম নগরের চরকালীবাড়ি এলাকার রাশেদের ছেলে। তিনি মামলার তিন নম্বর আসামি।
জানা গেছে, নির্যাতিত নারী মোছা. রুপা একজন যাত্রা নৃত্যশিল্পী। তিনি বড় কালীবাড়ি এলাকার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী। পরিবার নিয়ে পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ১৫ বছর আগে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরের একটি বস্তিতে বাস্তুহারা সমবায় সমিতির কাছ থেকে রুপা তিন লাখ টাকায় জমি কেনেন। গত বছর সেখানে ঘর তুলতে গেলে সমিতির সদস্য শাহ আলম প্রথমে চাঁদা দাবি করেন। এক লাখ টাকা দেওয়ার পরও আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা না পেয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রুপার বাড়িতে হামলা হয়। এ ঘটনায় রুপা আদালতে মামলা করলে ক্ষিপ্ত হয়ে চলতি বছরের এপ্রিলে তাঁর অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলেকে অপহরণ করা হয়। ওই মামলায় শাহ আলম গ্রেপ্তার হলেও পরে জামিনে বের হন।
বুধবার দুপুরে ভাঙচুর মামলার তদন্ত করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুই পক্ষের উত্তেজনা নেমে আসে। তবে পুলিশ সরে যাওয়ার পর প্রতিপক্ষ শাহ আলম রাস্তায় রুপাকে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করে, বেঁধে রেখে চুল কেটে মুখে কালি মাখিয়ে অপমান করে। মাদক ও টাকা সামনে রেখে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
পরিস্থিতি বুঝে রুপার স্বামী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এ কল করলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মাসুদ জামেলী বলেন, রুপাকে আটকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। আগের মামলাগুলোর জেরেই এ নির্যাতন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শিবিরুল ইসলাম জানান, মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন