ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ৭৭নং নাচনমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। ১৯০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ের ভবনটি সর্বশেষ পুনর্নির্মাণ করা হয় ২০০৬-০৭ অর্থবছরে। তবে দেড়যুগ না পেরোতেই ভবনটি এখন মারাত্মকভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানায়, শ্রেণিকক্ষে বসে তাদের সবসময় আতঙ্কে থাকতে হয়—কখনো ওপর থেকে পলেস্তারা খসে পড়তে পারে। অভিভাবকরাও বলেন, শিক্ষার মান ভালো হওয়ায় তারা সন্তানদের এ বিদ্যালয়ে ভর্তি করেছেন, তবে ভাঙা ভবনের কারণে সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।
বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ১১০ জন শিক্ষার্থী ও ৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। পাশে একটি একতলা ভবন থাকলেও তা শিক্ষার্থীদের জন্য যথেষ্ট নয়।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোসা. শিউলী পারভীন জানান, ‘কিছুদিন আগে ভবনের ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়েছিল। ভাগ্য ভালো, সেদিন স্কুল বন্ধ থাকায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। বর্তমানে পাশের ভবনের একই কক্ষে দুটি শ্রেণির পাঠদান চালাতে হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে আগে প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস চালু ছিল, তবে এখন আর তা সম্ভব নয়।’
তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ের ওয়াশব্লকের কাজ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে আছে। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শৌচাগারের সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ ছাড়া মাঠে জোয়ারের পানি উঠে প্লাবিত হয়। প্রয়োজন বালু ভরাটের।
এসব সমস্যার দ্রুত সমাধানে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (ক্লাস্টারের দায়িত্বে) মো. রেজা বলেন, ‘আমরা বিষয়টি অবগত আছি। অস্থায়ী ভবনের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদন করেছে, সেটি আমরা ঊর্ধ্বতন দপ্তরে পাঠিয়েছি।’