ঝালকাঠির নলছিটিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল পৌর শাখার আহ্বায়ক কামরুজ্জামান সুমন ও সদস্য সচিব সোহেল খানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে নলছিটি প্রেসক্লাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. সজিব দেওয়ান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের নয়টি ওয়ার্ডের মধ্যে আটটি কমিটি গঠন করা হলেও দীর্ঘ আড়াই বছরে ১ নম্বর ওয়ার্ডের কমিটি করতে ব্যর্থ হন আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব। সর্বশেষ কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নির্দেশে গত ২২ আগস্ট ওই কমিটি ঘোষণা করা হলেও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা।
সজিব দেওয়ান অভিযোগ করে বলেন, ঘোষিত কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ রাসেল প্যাদা একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে এবং তিনি পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তারও হয়েছেন। এ ছাড়া সদস্য সচিবের পদ নাকি ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, আহ্বায়ক সুমনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, ঠিকাদারের নির্মাণ সামগ্রী চুরি, এমনকি নদীপথে জাহাজ আটকে মালামাল লুটপাটের মতো অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে সদস্য সচিব সোহেলের বিরুদ্ধেও নলছিটি পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেনকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও জানান, আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই সংগঠনে অরাজকতা ও অসংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। দলীয় পদ-পদবি দেওয়ার কথা বলে তারা নেতাকর্মীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন এবং ভিন্নমত প্রকাশ করলে বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছেন। এর প্রতিবাদে ইতোমধ্যে ১৬ জন আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব লিখিতভাবে জেলা কমিটির কাছে অনাস্থা প্রকাশ করেছেন।
তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল এসব বিষয়ে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়নি। এ অবস্থায় আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে বিষয়টি পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানাই।’
পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকর্মীরা দাবি করে বলেন, অবিলম্বে ঘোষিত ১ নম্বর ওয়ার্ড কমিটি বাতিল করতে হবে এবং ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। অন্যথায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতারা আহ্বায়ক কামরুজ্জামান সুমন ও সদস্য সচিব সোহেল খানের বহিষ্কার দাবি করেন।
