ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কাজী খলিলুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তিনি স্ত্রী, এক পুত্রসন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আককাস সিকদার জানান, প্রায় ৩৫ বছরের দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে কাজী খলিলুর রহমান ঝালকাঠির সংবাদ জগতের একজন অগ্রগণ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
তিনি সর্বশেষ দৈনিক নয়াদিগন্ত, মাছরাঙা টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারের ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
কাজী খলিলুর রহমান দীর্ঘ সময় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি দুইবার সাধারণ সম্পাদক এবং চারবার সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে প্রথমবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে প্রেসক্লাবের নেতৃত্বে আসেন। তার মৃত্যুতে ঝালকাঠি প্রেসক্লাব তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২০ আগস্ট ভোরে শহরের স্টেশন রোডস্থ নিজ বাসভবনে তিনি ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। পরে তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল হয়ে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টানা চিকিৎসার পরও শেষ পর্যন্ত তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
কাজী খলিলুর রহমান ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের মহদিপুর গ্রামের সন্তান। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে শহরের স্টেশন রোড এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করছিলেন। তার পিতার নাম ইউসুফ আলী কাজী।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন, জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াত, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-সহ আরও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। তারা বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
ঝালকাঠি প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী খলিলুর রহমানের জানাজা সন্ধ্যা ৭টায় ঝালকাঠি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার আগে তার মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সামনে রাখা হয়। দাফন সম্পন্ন হয় তার পৈতৃক নিবাস মহদিপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে।