বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজেদের বঞ্চনা ও বৈষম্যের কথা তুলে ধরেন ঝালকাঠির সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তারা স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের এন্ট্রি পদ নবম গ্রেডে উন্নীত করে চার স্তরীয় পদসোপান বাস্তবায়ন, আঞ্চলিক উপ-পরিচালকের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা সংরক্ষণসহ মাধ্যমিকের সব কার্যালয়ের স্বাতন্ত্র্য ও মর্যাদা রক্ষা, বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন এবং বকেয়া সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল মঞ্জুরির দাবি জানান।
তারা বলেন, এসব ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন না হলে মাধ্যমিক শিক্ষায় বৈষম্য ও হতাশা আরও গভীর হবে।
রোববার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস), ঝালকাঠি জেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সভায় শিক্ষকরা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরও বলেন, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষক-কর্মকর্তার বিপরীতে পদোন্নতির উপযোগী পদ মাত্র ৪ শতাংশ। ফলে ৩২-৩৩ বছর চাকরি করেও অধিকাংশ শিক্ষক পদোন্নতি ছাড়া অবসরে যাচ্ছেন।
তারা বলেন, প্রশাসনিক বৈষম্য, বকেয়া টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, পদায়ন ও পদোন্নতির জটিলতা দূর করা জরুরি।
বক্তারা আরও জানান, শিক্ষা প্রশাসনে বৈষম্য দূর না হলে শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়। তারা আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে দাবিগুলোর বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে মানববন্ধন ও মহাসমাবেশসহ পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন।
সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আবু ছাঈদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা খান, রাজাপুর সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোসাম্মৎ জোহরা বেগম, সরকারি নলছিটি মার্চেন্টস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোহাম্মদ খায়রুল বাশার রানা এবং সরকারি হরচন্দ্র বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. আফজাল হোসেন। সভা সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক এ. এস. এম. মাসুম বিল্লাহ।