কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কাঠবোঝাই ট্রাকের চাপায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এই ঘটনায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রীসহ আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
ঘটনার পর থেকে ট্রাকচালক পলাতক রয়েছেন। খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ ট্রাকসহ দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করেন।
শুক্রবার (২৩ মে) সকালে সাড়ে ৭টায় ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের আকবর নগর বাসস্ট্যান্ড বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব হাইওয়ে থানা ওসি মোহাম্মদ সাহাবুর রহমান।
নিহতরা হলেন- ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের ঝগড়ারচর মুন্সি বাড়ির অলেক চাঁন মিয়ার ছেলে আঙুর মিয়া (৪৫) ও একই ইউনিয়নের আকবরনগর গ্রামের পূর্ব পাড়ার মৃত ছাবু মিয়ার ছেলে আব্দুল হালিম মিয়া (৬০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের কালিকাপ্রসাদের আকবরনগর বাসস্ট্যান্ড বাজার এলাকায় কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ভৈরবগামী একটি কাঠ বোঝায় ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে থাকা হাঁস মুরগি বাজারে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
এ সময় সড়কের পাশে থাকা বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা হতাহতের শিকার হন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা দেওয়ার সময় ট্রাকচাপায় দুজন হাঁস বিক্রেতা নিহত হন।
এ ছাড়াও ট্রাকের ধাক্কায় দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা দুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনায় অটোরিকশায় থাকা যাত্রীরাসহ ১০ জন পথচারী আহত হয়েছেন। আহতরা উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শী জিন্নত আলী বলেন, ‘আমরা এলাকাবাসী এই মুরগি বাজারে হাঁসমুরগি কেনা-বেচা করি। হঠাৎ একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুরগি বাজারের ওপর উঠে যায়। এ সময় দুজন নিহতসহ ১০ জন আহত হয়।’
নিহত আঙুর মিয়ার ভাই সাত্তার মিয়া বলেন, ‘আমার ভাই আঙুর মিয়া জুতার কাজ করত। সকাল ৬টায় ৪টা হাঁস নিয়ে বিক্রির জন্য আকবরনগর বাজারে যায়। ট্রাকের চাপায় ভাই নিহত হন। আঙুর মিয়ার সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।’
নিহত হালিম মিয়ার ভাতিজা শপন মিয়া বলেন, ‘আমার চাচা জায়গা-জমির মাপার আমিন ছিলেন। সকাল ৬টায় হাঁসমুরগির বাজারে হাঁস বিক্রি করতে আসেন। সকাল পৌনে সাতটায় তিনি ট্রাকচাপায় মারা যান। পরিবারে তার তিন ছেলে ও চার মেয়ে রয়েছে।’
এ বিষয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি মো.সাহাবুর রহমান বলেন, ‘সকালে ৯৯৯ কল পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে এসে দুজনের মৃত্যুর খবর পাই। একজন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। আরেকজন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।